বগুড়া শহরের কলোনী এলাকায় মাদরাসার সীমানা প্রাচীর ধসে আয়নুল হক (৫৫) নামে এক নৈশপ্রহরী নিহত হয়েছেন। শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শহরের কলোনী এলাকার জামিল মাদরাসায় এই ঘটনা ঘটে। এ সময় দুই শিশু ও এক নারীকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আয়নুল হক সিরাজগঞ্জ সদরের চরনান্দিনা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি এক মাস আগে ওই মাদরাসায় নৈশপ্রহরীর পদে চাকরি নেন। এ ঘটনায় আহতরা হলেন, শহরের মাটিডালী এলাকার বাসিন্দা ও মাদরাসা শিক্ষার্থীর অভিভাবক মোছা. মুক্তা বেগম (৩৫), মাদরাসার ছাত্র মো. হামিম (১২), মেফতাজুল (৫)।
স্থানীয়রা জানায়, মাদরাসার দক্ষিণ-পশ্চিম পাশের এই সীমানা প্রাচীরটি কয়েক মাস ধরে হেলে পড়েছিল। ধসে পড়া সীমানা প্রাচীরের পাশে মাদরাসার রান্নাঘর। এখানে ছোট একটি পকেট গেট আছে। এ পথে মাদরাসার স্টাফ ও নারী অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
মাদরাসার বাবুর্চি বেলাল হোসেন জানান, শিক্ষার্থীদের জন্য দুপুরের রান্নার কাজ চলছিল। আর প্রহরী আয়নুল গেটের কাছে ছিলেন। এ সময় বিকট শব্দ শুনে তারা ছুটে এসে দেখেন দেয়াল ধসে পড়েছে। পরে কাছে গেলে আয়নুলকে দেয়ালের নিচে চাপা পড়ে থাকতে দেখেন। দেয়াল ধসে এক শিক্ষার্থীর মা ও দুজন আহত হন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে তাদের হাসপাতালে নিয়ে যায়।
স্থানীয় বনানী পুলিশ ফাঁড়ির এসআই সাজ্জাদুল হক বলেন, আয়নুল হক মাসখানেক হলো মাদরাসায় চাকরি শুরু করেন। দেয়াল ধসে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আহত হয়েছে তিনজন।