সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার বড় কোয়ালিবেড় দাখিল মাদরাসায় এক নৈশ প্রহরী ও আয়া পদে নিয়োগ নিয়ে অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ এনে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন ম্যানেজিং কমিটির কয়েকজন সদস্য। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি, সুপার ও দুই ছাত্র অভিভাবকসহ ৫ জনকে আসামি করা হয়েছে মামলায়।
মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির দাতা সদস্য, বিদ্যুৎসাহী সদস্য ও দুই অভিভাবক সদস্য যৌথভাবে বাদি হয়ে সিরাজগঞ্জ জেলা জজ আদালতে এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, বড় কোয়ালিবেড় দাখিল মাদরাসা পরিচালনা কমিটির অধিকাংশ সদস্যকে না জানিয়ে, ম্যানেজিং কমিটির কোন প্রকার মিটিং ছাড়াই গোপনে আয়া ও নৈশ প্রহরী পদে নিয়োগ দেয়ার জন্য সুপার ও সভাপতি মিলে গত ২ মার্চ পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর উভয় পদে ১২ জন প্রার্থী চাকরি চেয়ে আবেদন করে। কিন্তু নিয়োগ প্রক্রিয়ায় মাদরাসার সভাপতি আবু ইসাহাক ও স্থানীয় এক প্রভাবশালী নেতার যোগসাজসে নিজ নিজ স্বজনদের মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে নিয়োগের পায়তারা করছেন। আর সুপার শফিক উদ্দিন নিয়োগ দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন জেনে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন ম্যানেজিং কমিটির চার সদস্য।
মামলার বাদি ও মাদরাসার দাতা সদস্য অ্যাডভোকেট নুরে আলম সিদ্দিকী দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, প্রভাব খাটিয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নৈশ প্রহরী পদে নিজের ভাগিনাকে ও স্থানীয় এক প্রভাবশালী নেতার ধর্ম নাতি বউকে আয়া পদে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দিতেই এ প্রক্রিয়া। তাই এই অবৈধ নিয়োগ বন্ধ করতে আদালতের দারস্থ হয়েছি।
এ বিষয়ে জনাতে চাইলে মাদরাসার সুপার শফিক উদ্দিন মুঠোফোনে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, নিয়োগ নিয়ে ম্যানেজিং কমিটি দলাদলি করে আদালতে মামলা করেছে। আদালত থেকে মামলার নোটিশ পেয়েছি।
সভাপতি আবু ইসাহাক মুঠোফোনে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, মাদরাসার আয়া ও নৈশ প্রহরী পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। কতিপয় ম্যানেজিং কমিটির সদস্য এই নিয়োগ প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করতে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ কে এম সামছুল হক দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোন অনিয়ম ও আইনি জটিলতা থাকলে নিয়োগ হওয়ার কোন সুযোগ নেই।