নীলফামারীর ডিমলায় দক্ষিণ গয়াবাড়ী ফুটানির হাট আব্বাস আলী সরকার দাখিল মাদরাসায় সুপার ও কর্মচারী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, মাদরাসার সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত সুপার চারটি পদের জন্য মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিয়ে স্থানীয় জামায়াত নেতা, ভোট কেন্দ্রে অগ্নিসংযোগের সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং স্বাধীনতা বিরোধীদের নিয়োগ দেয়ার পায়তারা করেছেন। এ মাদরাসায় নিয়োগে ইতোমধ্যে ডিজির প্রতিনিধি অনুমোদন দেয়া হয়েছে। তাই এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে ডিজির প্রতিনিধির আদেশ বাতিল করে নতুন করে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারির দাবি জানানো হয়েছে। এসব বিষয় জানিয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে অভিযোগ দিয়েছেন এলাকাবাসী।
অভিযোগে জানানো হয়েছে, ওই মাদরাসায় সুপারিনটেনডেন্ট, সহকারী সুপারিনটেনডেন্ট, নিরাপত্তাকর্মী ও আয়া পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর থেকে সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত সুপার নিজের পছন্দের প্রার্থীদের কাছে থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে তাদের আবেদনসহ নাম মাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী দেখিয়ে পরীক্ষা নেয়ার জন্য ডিজি প্রতিনিধির আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ১৮ সেপ্টেম্বর মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর নিয়োগ পরীক্ষার জন্য ডিজি প্রতিনিধি হিসেবে সহকারী পরিচালক জান্নাতুন নাহারকে মনোনয়ন দেন। এরপর থেকে ভারপ্রাপ্ত সুপার ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি গোপনভাবে নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্নের জন্য পায়তারা করে আসছেন।
অভিযোগে এলাকাবাসী আরও দাবি করেন, স্থানীয় অনেক চাকরী প্রত্যাশি প্রার্থী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সম্পর্কে কিছুই জানতে পারিনি। ভারপ্রাপ্ত সুপার পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে তা নোটিশ বোর্ড ও স্থানীয়ভাবে প্রচার না করে একান্ত নিজের কাছে রেখে পছন্দের প্রার্থীদের নিয়োগ দেয়ার চেষ্টা করছেন। তাই এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বাতিল করে পুনরায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দাবি জানানো হয়েছে।
তারা আরও অভিযোগ করেন, সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত সুপার প্রার্থীদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে জামায়াত নেতা ও তালিকাভুক্ত রাজাকার ইকরামুল হকের ছেলে রেজাউল করিমকে সহকারী সুপার হিসেবে নিয়োগ দেয়ার চেষ্টা করছেন।
বিষয়ে জানতে চাইলে মাদরাসার সুপার (ভারপ্রাপ্ত) মুসা জামান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী যোগ্য প্রার্থীদের আবেদন যাচাই বাছাই শেষে নিয়োগ পরীক্ষার জন্য আবেদন দেয়া হলে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে ডিজি প্রতিনিধি মনোনয়ন দেন। প্রতিষ্ঠানের ও আমাদের সুনাম নষ্ট করতে কিছু ব্যাক্তি নিয়োগ বাণিজ্যের মিথ্যা অভিযোগ করছেন।
মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আনারুল হক সরকার লেবু দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, কেউ আবেদন করলে আমরা তাকে বাধা দিতে পারি না। কোনোভাবেই স্বাধীনতা বিরোধীদের এখানে চাকরি হওয়ার সুযোগ নেই।
ডিমলা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল হালিম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।