মাদরাসায় প্রক্রিয়াধীন থাকা গ্রন্থাগারিক নিয়োগ কমিটির মাধ্যমে শেষ করার দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক |

বিভিন্ন মাদরাসায় প্রক্রিয়াধীন থাকা গ্রন্থাগারিক ও সহকারী গ্রন্থাগারিক নিয়োগ আগের নিয়মে অর্থাৎ পরিচালনা কমিটির মাধ্যমে শেষ করার দাবি জানিয়েছেন নিয়োগ প্রত্যাশীদের একাংশ। এ দাবিতে মানববন্ধন করেছেন তারা। 

রোববার (২৪ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ‘গ্রন্থাগার ও তথ্যবিজ্ঞান চাকরি প্রত্যাশী ঐক্য পরিষদ’ নামের একটি সংগঠনের ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, মাদরাসার এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো-২০১৮ (২৩ নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সংশোধিত) অনুযায়ী গত বছরের জুলাই থেকে সারাদেশের মাদরাসায় নবসৃষ্ট গ্রন্থাগারিক ও সহকারী গ্রন্থাগারিক পদে নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলেও কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের মৌখিক নির্দেশনায় দীর্ঘদিন তা আটকে রাখা হয়। পরে, চলতি বছরের ১৮ জুলাই ওই পদ দুটিকে শিক্ষক মর্যাদা দিয়ে গ্রন্থাগার প্রভাষক এবং সহকারী শিক্ষক গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান নামকরণ করে কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে একটি অফিস আদেশ জারি করা হয়, তাতে  এই দুটি পদের নিয়োগের দায়িত্ব বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন কতৃপক্ষকে (এনটিআরসিএ) দেওয়া হয়। আমরা সরকারের এ সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই। তবে আমরা যারা আগের নিয়ম অনুযায়ী দীর্ঘদিন যাবত নিয়োগের প্রতীক্ষায় ছিলাম এ আদেশের ফলে আমাদের অধিকার হরণ করা হয়েছে। এ আদেশের জন্য বিভিন্ন মাদরাসায় আবেদন করা হাজার-হাজার চাকরি প্রত্যাশী ক্ষতি ও বৈষম্যের শিকার হয়েছে বলেও দাবি করেন বক্তারা।

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া চাকরি প্রত্যাশীরা বলেন, ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে জারি হওয়া মাদরাসার এমপিও নীতিমালা ও ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ২৩ নভেম্বর জারি হওয়া মাদরাসার সংশোধিত জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের জুলাই থেকে আমরা বিভিন্ন দাখিল, আলিম, ফাজিল ও কামিল মাদরাসায় গ্রন্থাগারিক ও সহকারী গ্রন্থাগারিক পদে বিভিন্ন পত্রিকার প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ব্যাংক ড্রাফট-পোস্টাল অর্ডারসহ আবেদন করেছি। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় মাদরাসা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের প্রতিনিধি মনোনয়ন সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রাখা হয়েছিল। আমারা নিয়োগ প্রক্রিয়ার অপেক্ষায় ছিলাম। কিন্তু জুলাই মাসে নিয়োগের দায়িত্ব এনটিআরসিএকে দেওয়া হয়। এখন এ পদগুলোতে নিয়োগ পেতে আমাদের নিবন্ধিত হতে হবে যা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। যদিও আমার ইতোমধ্যে আবেদন করে রেখেছি। 

ছবি : সংগৃহীত

বক্তারা আরও বলেন, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা প্রক্রিয়াধীন নিয়োগগুলো আগের নিয়ম অনুযায়ী সম্পন্ন করার দাবিতে আমাদের আন্দোলন করতে হচ্ছে, যা খুবই দুঃখজনক। শান্তিপূর্ণ এই মানববন্ধন থেকে আমরা এ বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি এবং হস্তক্ষেপ কামনা করছি। সেইসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আমরা যারা আবেদন করেছি তারা আগেও এ নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দিয়েছি। 

বক্তারা বিভিন্ন মাদরাসায় প্রক্রিয়াধীন থাকা গ্রন্থাগারিক ও সহকারী গ্রন্থাগারিক নিয়োগ আগের নিয়মে অর্থাৎ পরিচালনা কমিটির মাধ্যমে শেষ করার দাবি জানান। দাবি আদায় না করা হলে আমরণ অনশন করতে প্রস্তুত আছেন বলেও মানববন্ধনে জানান চাকরি প্রত্যাশীরা।

মানববন্ধনে সংগঠনের সভাপতি খান সাইফুল ইসলাম, মহাসচিব ফজলুল হক, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অলিউর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমানসহ ইতোমধ্যে বিভিন্ন মাদরাসায় গ্রন্থাগারিক ও সহকারী গ্রন্থাগারিক পদে আবেদন করা চাকরি প্রত্যাশীরা অংশগ্রহণ করেন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি, জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি, জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয় স্কুল-কলেজ শিক্ষকদের এপ্রিল মাসের এমপিওর চেক ছাড় - dainik shiksha স্কুল-কলেজ শিক্ষকদের এপ্রিল মাসের এমপিওর চেক ছাড় শ্রেষ্ঠ শিক্ষকের মানদণ্ড কী? - dainik shiksha শ্রেষ্ঠ শিক্ষকের মানদণ্ড কী? প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল আগামী সপ্তাহ - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল আগামী সপ্তাহ অবসর-কল্যাণে শিক্ষার্থীদের দেয়া টাকা জমার কড়া তাগিদ - dainik shiksha অবসর-কল্যাণে শিক্ষার্থীদের দেয়া টাকা জমার কড়া তাগিদ কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে সুপ্রিম কোর্টের ফতোয়ার রায় পাঠ্যপুস্তকে নিতে হবে - dainik shiksha সুপ্রিম কোর্টের ফতোয়ার রায় পাঠ্যপুস্তকে নিতে হবে সরকারি কলেজ মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদিমের চাকরি জাতীয়করণ দাবি - dainik shiksha সরকারি কলেজ মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদিমের চাকরি জাতীয়করণ দাবি please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0024740695953369