পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার আমখোলা ইউনিয়নে রহমগঞ্জ হামিদিয়া দাখিল মাদরাসায় সহকারী সুপারসহ চারটি পদে নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নানা তথ্য গোপন ও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে সহকারী সুপার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভপতি মাওলানা এম এ মান্নানে ছেলে মো. সাইদুর রহমানকে। তবে গত রোববার নিয়োগ পাওয়া ওই চার পদের ব্যক্তিরা মাদরাসায় উপস্থিত হলে এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়। বিষয়টি জানিয়ে অভিযোগ দেয়া হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর দপ্তর, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ও মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের।
এ অভিযোগের প্রেক্ষিত্রে রোববার মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের তলব করা হয়েছিলো সহকারী সুপার পদে আবেদন করা প্রার্থীদের। তারা হলেন, আব্দুস সোবহান, মো. ফিরোজ আলম, সাইদুর রহমান, নাছির উদ্দিন, মো. আনিছুর রহমান ও মো. নেছার উদ্দিনকে।
অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, সহকারী সুপার পদে নিয়োগ পেতে আবেদন করা ছয় প্রার্থী অধিদপ্তরে এসেছিলেন। কিন্তু তারা অধিদপ্তরে এসে অসংলগ্ন কথাবার্তা বলেছেন। নিয়োগ পরীক্ষা কোথায় হয়েছে সে বিষয়ে কেনো প্রার্থীই সুনির্দিষ্টভাবে জানাতে পারেনি। কর্মকর্তাদের জেরার মুখে একেকজন একেকরকম কথাবার্তা বলেছেন।
জানা গেছে, ওই প্রার্থীদের শুনানি নিয়েছেন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. লুৎফর রহমান। জানতে চাইলে তিনি দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, রোববার আবারো তাদের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
জানা গেছে, সহকারী সুপার পদ ছাড়া ওই মাদরাসায় পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মো. ইয়ামিন, দপ্তরি পদে নিয়োগ পেয়েছেন আতিকুর রহমান এবং আয়া পদে নিয়োগ পেয়েছেন সিমা নামে এক নারী। তবে ২১ জানুয়ারি এদের আনুষ্ঠানিকভাবে শিক্ষক-কর্মচারীদের মাঝে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়। তবে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা ১ জানুয়ারি নিয়োগ পেয়েছেন।
মাদরাসার শিক্ষকরা বলছেন, এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পর্কে তারা কিছুই জানেন না। গত ২০ দিনেও এদের কাউকে মাদরাসায় দেখা যায়নি। নতুন নিয়োগপ্রাপ্তরা ১ জানুয়ারি থেকে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেছেন। এটি পুরোপুরি অবৈধ নিয়োগ।
যদিও মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার মো. নজরুল ইসলাম দাবি করেন, গত ৮ ডিসেম্বর পটুয়াখালীর হাজিখালী দাখিল মাদরাসায় নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় এবং সেখানে বোর্ডের প্রতিনিধি ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার উপস্থিত ছিলেন।