স্বতন্ত্র মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের অন্যতম সফলতা। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনস্ত থাকাকালে মাদরাসা শিক্ষকদের নানা হেনস্তার শিকার হতে হতো। নতুন অধিদপ্তরের যাত্রার শুরুতে সবকিছু গোছাতে এবং মাউশি থেকে ফাইলপত্র আলাদা করতে কিছুটা সময় লেগে যায়।
তবে, মহাপরিচালক হিসেবে মেধাবী কর্মকর্তা কে, এম, রুহুল আমিনের যোগদানের পর সব স্থবিরতা, সিদ্ধান্তহীনতা কাটতে শুরু করে। তিনি নীরবে-নিভৃতে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। মাদরাসা শিক্ষাকে যুগোপযোগী ও আধুনিকীকরণে কাজ করে যাচ্ছেন। যার সুফল পাচ্ছেন মাদরাসা শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অন্যানরা। সম্প্রতি জানতে পারলাম প্রশাসন ক্যাডারের এই মহাপরিচালক অবসরে যাওয়ার দিন গুনছেন। আরো জানতে পারলাম, নিরবে নিভৃতে রুহল আমীন চাকুরি করে গেলেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এক/এগারোর দু:সময়ে নানাভাবে প্রটেকশন দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। রুহুল আমীন তখন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন। একটি সংস্থার দু্ই কর্মকর্তার শত হুমকি উপেক্ষা করে শেখ হাসিনার পক্ষে কাজ করেন। আজম জে চৌধুরীকে দিয়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে করানো মামলায় চার্জশিট গ্রহণ না করে সময়ক্ষেপণ করেন রুহুল আমীন, যাতে মামলা ট্রায়ালে না যায়। যৌথ বাহিনীর হুমকির কারণে সাতদিন নিজের পরিবারের কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি রুহুল আমিন।
এমন একজন কর্মকর্তা অতিরিক্ত সচিব হিসেবেই অবসরে চলে যাচ্ছেন। অথচ তার ব্যাচের অনেকেই ইতিমধ্যে সচিব হয়েছেন। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের অধ্যাপক দুই বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে আছেন। এমন আরো অনেক উদাহরণ দেয়া যাবে।
আমরা মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের করিৎকর্মা কর্মকর্তা রুহুল আমীনকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের দাবি জানাই।