মাদরাসা চত্বরে গরুর হাট, নষ্ট হচ্ছে খেলার মাঠ

বগুড়া প্রতিনিধি |

বগুড়ার সোনাতলায় মাদরাসা চত্বরে গরুর হাট বসায় খেলার মাঠ ও শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। দীর্ঘদিন হাটটি ইজারা না দেয়ায় সরকার প্রতি বছর মোটা অঙ্কের রাজস্ববঞ্চিত হচ্ছে। মাদরাসার শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা শিক্ষার স্বার্থে গরুর হাট না বসাতে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বগুড়ার সোনাতলা উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৩ কিলোমিটার দক্ষিণে দিগদাইর ইউনিয়নের সৈয়দ আহম্মদ কলেজ স্টেশন। স্টেশনের কাছে ১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দে সৈয়দ আহাম্মদ আলিম মাদরাসা প্রতিষ্ঠিত হয়। সামান্য কয়েকজন শিক্ষার্থী নিয়ে মাদ্রাসার যাত্রা শুরু হলেও অল্প সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীদের পাদচারণা বেড়ে যায়। বর্তমানে এখানে ৫৪৫ জন শিক্ষার্থী লেখাপড়া করে।

মাদরাসা চত্বরে রয়েছে বিশাল খেলার মাঠ। ওই মাঠে দীর্ঘ ২৯ বছর ধরে প্রতি বৃহস্পতিবার গরুর হাট বসে। হাটে কেনাবেচা করতে আনা গরুগুলো মলমূত্র ত্যাগ ও ক্রেতা-বিক্রেতাদের পাদচারণায় মাঠটি ক্ষতবিক্ষত এবং চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। দুর্গন্ধে শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্নিত হয়। শিক্ষার্থীদের অনেক কষ্টে ক্লাস করতে হয়। মাঠে গরুর মলমূত্র থাকায় তারা খেলাধুলা করতে পারে না। অপরদিকে হাটটি ইজারা দেয়া হয় না। এতে প্রতি বছর সরকার মোটা অংকের রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে।

মাদরাসার আশপাশের বাসিন্দা ইসমাইল হোসেন, সেকেন্দার আলী, মহররম শেখ, সিদ্দিক হোসেন জানান, মাঠে সপ্তাহে একদিন গরুর হাট বসার কারণে স্বাভাবিক পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। গরু-ছাগলের মলমূত্র পুরো মাঠে থাকায় অনেক কষ্টে শিক্ষকদের পাঠদান ও শিক্ষার্থীদের ক্লাস করতে হয়। অনেক সময় দুর্গন্ধে ক্লাসে থাকা কঠিন হয়ে পড়ে। তারা শিক্ষার স্বার্থে মাঠে গরুর হাট অন্যত্র স্থানান্তরের দাবি জানিয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে মাদরাসার অধ্যক্ষ আবদুল মোমিন জানান, আলিম বিভাগ এখনও এমপিওভুক্ত হয়নি। আলিম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পাঠদানে নিয়োজিত চারজন শিক্ষকের মাসিক সম্মানী হাট কমিটির মাধ্যমে মাদরাসা ফান্ডে জমা হয়।

সোনাতলা উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মিনহাদুজ্জামান লিটন জানান, হাটটি ইজারাভুক্ত করতে উপজেলা প্রশাসন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শফিকুর আলম জানান, মাদরাসা মাঠের হাটটি ইজারাভুক্ত করতে প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। খুব শিগগিরই হাটটি সরকারের আওতাভুক্ত হবে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
সফটওয়্যারে কারিগরি ত্রুটি/ ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের তথ্য ইমেইলে আহ্বান - dainik shiksha সফটওয়্যারে কারিগরি ত্রুটি/ ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের তথ্য ইমেইলে আহ্বান শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বৈত নীতি! - dainik shiksha শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বৈত নীতি! হিটস্ট্রোকে শিক্ষকের মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে শিক্ষকের মৃত্যু লিখিততে প্রক্সি দিয়ে পার, মৌখিক পরীক্ষায় এসে ধরা - dainik shiksha লিখিততে প্রক্সি দিয়ে পার, মৌখিক পরীক্ষায় এসে ধরা কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন যেভাবে - dainik shiksha এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন যেভাবে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে শিক্ষক কেনো বদলি চান - dainik shiksha শিক্ষক কেনো বদলি চান ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা হতে পারে জুলাইয়ে - dainik shiksha ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা হতে পারে জুলাইয়ে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0060679912567139