মাদরাসা ভেঙে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা

ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি |

নীলফামারীর ডোমারে পুরো একটি মাদরাসা ভেঙে নিয়ে গেছে দুর্বত্তরা। গত ১১ জানুয়ারি চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পাঙ্গা মটুকপুর ইউনিয়নের মৌজাপাঙ্গা পন্ডিতপাড়া স্বতন্ত্র এবতেদায়ি মাদরাসায়। এ ঘটনায় ডোমার থানায় অভিযোগ করেছেন মাদরাসার সভাপতি মো. দুলাল হোসেন।

ভেঙ্গে নিয়ে যাওয়ার পর মৌজাপাঙ্গা পন্ডিতপাড়া স্বতন্ত্র এবতেদায়ি মাদরাসা

অভিযোগে জানা যায়, ১৯৬৮ খ্রিষ্টাব্দে মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন মরহুম মৌলভী ছফির উদ্দিন। তিনিই প্রতিষ্ঠাকালীন প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার মৃত্যুর পরে বর্তমানে প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন মো. ফজলুল হক। মাদরাসাটি মুঞ্জুরি হয় ১৯৮৫ খ্রিষ্টাব্দে।

গত ১১ জানুয়ারি সকালে মাদরাসা সংলগ্ন এলাকার মো. নুরুল হকের ছেলে মাওলানা মো. রুহুল আমিন (৩৫), লেলিন ইসলাম (২৫), মো. শাহীন ইসলাম (৩৫), অহেদ মোল্লা (৪০), ফজিলা বেগম (৪০) সহ অজ্ঞাত ১০-১৫ জনের একটি দল মাদরাসায় প্রবেশ করে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় বাধা প্রদান করেন। এসময় মাদরাসার সভাপতিসহ শিক্ষকদের গালিগালাজ করে রুহুল আমিন নিজেকে প্রধান শিক্ষক দাবি করেন।

মাদরাসা কার্যক্রমে বাধা দেয়ার কারণ জানতে চাইলে রুহুল আমিনের লোকজন সভাপতি মো. দুলাল হোসেনকে মারধর শুরু করেন। এ সময় তারা দলবেধে সকলকে হুমকি দিয়ে মাদরাসার টিনের বেড়া, চেয়ার টেবিল, বেঞ্চসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জোর করে নিয়ে যান। বর্তমানে মাদরাসাটিতে শুধুমাত্র টিনের চালা রয়েছে।

এ অবস্থায় পাঠদান বন্ধ রয়েছে জানিয়ে মাদরাসার সভাপতি মো. দুলাল হোসেন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের ২০ জুলাই মাদরাসার মুঞ্জুরির কাগজসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হারিয়ে যায়। এ ব্যাপারে ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের ৬ সেপ্টেম্বর ডোমার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। সম্প্রতি রুহুল আমিন সেই কাগজপত্র সংগ্রহ করে নিজেকে প্রধান শিক্ষক, তার বাবাকে সভাপতি ও স্ত্রীকে দাতা সদস্য দেখিয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসে ভুয়া কাগজপত্র দাখিল করেন।

তিনি বলেন, স্থানীয়রা বিষয়টি বুঝতে পেরে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে অবগত করেন। পরবর্তী সময়ে শিক্ষা অফিসার সাকেরিনা বেগম রুহুল আমিনের সেসব কাগজপত্র গ্রহণ না করায় ক্ষিপ্ত হয়ে লেখাপড়ায় বাধা প্রদানের পাশাপাশি মাদরাসাটি সম্পূর্ণরূপে চুরি করে নিয়ে গেছে।

ডোমার থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মোস্তাফিজার রহমান অভিযোগের বিষয়টি স্বীকার করে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ - dainik shiksha শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল - dainik shiksha সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা - dainik shiksha রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা - dainik shiksha শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0029439926147461