মাদরাসা মাঠে আখের স্তূপ, বন্ধ শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি |

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে এক মাদরাসার মাঠ ভাড়া নিয়ে আখের স্তুপ রেখেছে রংপুর সুগার মিল কর্তৃপক্ষ। উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের সাতগীরি দাখিল মাদরাসা মাঠ ভাড়া নিয়ে সেখানে আখের স্তুপ রাখা হচ্ছে। ফলে আগেভাগেই ছুটি হয়ে যাচ্ছে মাদরাসা। ব্যাহত হচ্ছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অ্যাসেম্বলি ও খেলাধুলা।

মাদরাসা মাঠে আখের স্তূপ : ছবি-সংগৃহীত

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় এক মাস থেকে ওই মাদরাসাটির মাঠ ভাড়া দিয়ে আসছে। আর দীর্ঘদিন যাবত পুরো মাঠ জুড়ে আখের স্তুপ করে রেখেছে মিল কর্তৃপক্ষ। আর আশপাশের কৃষকের জমি থেকে আখ ক্রয় করে ভ্যান ও ঘোড়ার গাড়িতে করে নিয়ে আসা হচ্ছে মাদরাসা মাঠে। ঘোড়ার গাড়ি থেকে আখ নামিয়ে মাদরাসার মাঠে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখছে শ্রমিকেরা। পুরো মাদরাসা মাঠে আখের স্তুপ রাখায় অ্যাসেম্বলি ও খেলাধুলা করতে পারছে না শিক্ষার্থীরা। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে এভাবেই আখের স্তুপ জমা করছেন তারা। সুগার মিলের শ্রমিকদের হৈ-হুল্লোড় করার কারণে অমনোযোগী হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। এতে ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান। মাদরাসার মাঠ সুগার মিলের কাছে ভাড়া দেয়ায় ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেছে অবিভাবক ও এলাকাবাসী।

স্থানীয়রা জানান, মাত্র পাঁচ হাজার টাকায় আখ কেনার সময় শেষ না পর্যন্ত মাদরাসার মাঠ ব্যবহার করবে সুগার মিল কর্তৃপক্ষ। মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটি ও সুপার মিলে ওই বিদ্যালয়ের মাঠ এভাবেই প্রতি বছর ভাড়া দিয়ে যাচ্ছেন। একাধিকবার নিষেধ করা হলেও কর্ণপাত করেনি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আর কয়েক দিন আগে মাদরাসা মাঠ থেকে ট্রাক লোড করে আখ নিয়ে যাওয়ার সময় চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিদ্যালয়ের ভবণে ধাক্কা দেয়। এতে মাদরাসার বারান্দার সামনের একটি পিলার একেবারে ভেঙে যায়। পরে সুগার মিল কর্তৃপক্ষ তা সংস্কার করে দিয়েছে। এলাকবাসীর দাবি দ্রুত মাদরাসার মাঠ থেকে আখের স্তুপ অপসারণ করার।

মজিবুর রহমান নামের এক অবিভাবক অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, সামান্য কিছু টাকার জন্য মাদরাসার মাঠ ভাড়া দেয়া অত্যন্ত লজ্জার। এতে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় বিঘ্ন ঘটছে।

মাদরাসার সুপার আবু ছালেক মিয়া বলেন, এলাকাবাসীর জোড়াজুড়িতে তিন হাজার টাকায় মাঠ ভাড়া দেওয়া হয়েছে। আর কয়েক দিনের মধ্যে এখান থেকে আখ অপসারণ করে নেবে সুগার মিল। 

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মাহমুদ হোসেন মন্ডল বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ-খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ - dainik shiksha শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল - dainik shiksha সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা - dainik shiksha রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা - dainik shiksha শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0025730133056641