মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারীদের তিন মাসের বেশি সময়ের বকেয়া এমপিওর আবেদন হার্ডকপিতে সরাসরি মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরে করতে হবে। আর আদালতের রায়ে বকেয়া প্রাপ্য হলেও সে আবেদন অধিদপ্তরে হার্ডকপিতে করতে হবে। আর তিন মাস পযর্ন্ত বকেয়া বেতন-ভাতার আবেদন মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের এমপিওর সফটওয়্যার মেমিসের মাধ্যমে করতে হবে।
বুধবার মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে জারি করা এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এদিন অধিদপ্তর থেকে আদেশটি সব মাদরাসার অধ্যক্ষ ও সুপারদের পাঠানো হয়েছে।
এতো দিন মাদরাসার শিক্ষক-কর্মচারীদের বকেয়া বেতন-ভাতার আবেদন মেমিসের মাধ্যমে ও হার্ডকপিতে গ্রহণ করতো মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। কিন্তু এখন থেকে তিন মাসে বা তার কম বকেয়ার আবেদন মেমিসে আর তিন মাসের বেশি বকেয়া বা আদালতের আদেশে প্রাপ্য বকেয়ার আবেদন হার্ডকপিতে এমপিও নীতিমালা অনুসারে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরে করতে হবে।
বিষয়টি জানিয়ে জারি করা আদেশে অধিদপ্তর বলছে, প্রায়ই দেখা যায় মাদরাসা শিক্ষকদের বাকেয়ার আবেদনে প্রতিষ্ঠান প্রধান বা জেলা শিক্ষা অফিসার কিংবা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের অগ্রায়ণ থাকে না কিংবা মাস ও খাতভিত্তিক বকেয়া দাবি সঠিকভাবে থাকে না। এছাড়া বেসরকারি মাদরাসার জনবল কাঠোমো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ (২৩ নভেম্বর ২০২০ সংশোধিত) এর পরিশিষ্ট ‘ঙ’ মোতাবেক তথ্য ও অন্যান্য ডকুমেন্টস সংযুক্ত করা হয় না। এছাড়া ছয় মাস পর্যন্ত অনলাইনে দাখিল করা বকেয়ার আবেদন বেশি হওয়ায় নীতিমালা মোতাবেক নির্ধারিত সময়ে আবেদনগুলো নিষ্পত্তি করা অতিব দুরহ হয়ে পড়ে।
সার্বিক বিবেচনায় এমপিওভুক্তির আবেদন যাচাই-বাছাই ও অনুমোদন কমিটির মে মাসের সভায় বকেয়া বেতন-ভাতা প্রাপ্তির জন্য অনলাইনে আবেদন সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই কাজ সম্পন্নের জন্য অনেক সময় প্রয়োজন হওয়ায় তিন মাস পর্যন্ত অনলাইনে বকেয়ার আবেদন নিষ্পত্তির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তাই, এখন থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের অনুর্ধ্ব তিন মাস পর্যন্ত বকেয়া বেতন-ভাতার আবেদন মেমিস সফটওয়্যারের মাধ্যমে অনলাইনে এবং তিন মাসের বেশি সময়ের ও আদালতের আদেশে বকেয়া বেতন ভাতার আবেদন হার্ড কপিতে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের পাঠাতে বলা হয়েছে আদেশে। বকেয়া বেতনের আবেদনের ক্ষেত্রে নির্ধারিত ছক ও মাদরাসার এমপিও নীতিমালার পরিশিষ্ট ‘ঙ’ মোতাবেক প্রয়োজনীয় তথ্য ও অন্যান্য ডকুমেন্টসসহ পাঠাতে বলেছে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। একইসঙ্গে সংশ্লিষ্টদের এ নির্দেশনা অনুসরণ করতে বলেছে অধিদপ্তর।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।