বগুড়ার কাহালু উপজেলায় এক মাদরাসা শিক্ষার্থীকে তাদের ভাড়াটে ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শুক্রবার (২৪ আগস্ট) সকালে ভাড়াটেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তির নাম আরমান আলী (৪৫)। তিনি কাহালুর উলট্টপুর গ্রামের বাসিন্দা। ধর্ষণের শিকার মেয়েটি স্থানীয় একটি মাদরাসার নবম শ্রেণির ছাত্রী।
থানা-পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন সূত্রে জানা গেছে, ইদের পরদিন বৃহস্পতিবার (২৩ আগস্ট) ধর্ষণের এ ঘটনা ঘটে। আরমান আলী ওই বাড়ির একটি কক্ষে ভাড়া থাকতেন।
ইদের পরের দিন বাড়িতে কেউ না থাকায় সুযোগ নেন আরমান আলী। ওই বাড়িতে বাড়িওয়ালার স্ত্রী ও কিশোরী মেয়েটি থাকত। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কিশোরীর মা মুঠোফোনে টাকা রিচার্জ করতে গেলে আরমান আলী মেয়েটিকে জোর করে তাঁর কক্ষে এনে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় পরদিন শুক্রবার সকালে কিশোরী বাদি হয়ে আরমান আলীকে আসামি করে কাহালু থানায় ধর্ষণের মামলা করেছে। মামলার পর পুলিশ আরমান আলীকে গ্রেফতার করে।
কাহালু থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডেভিড হিমাদ্রি বর্মা বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে আরমান আলী পুলিশের কাছে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন। তাঁকে বগুড়া আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ওই কিশোরীকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।