মাধ্যমিকের শিক্ষাক্রমে বড় পরিবর্তন আসছে

দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক |

২০২৫ শিক্ষাবর্ষে মাধ্যমিকের শিক্ষাক্রমে বড় পরিবর্তন আসছে। প্রতি বিষয়ের বার্ষিক পরীক্ষা হবে ৩ ঘণ্টা। লিখিত পরীক্ষায়  নম্বর থাকবে ৭০ ভাগ। আর শিখনকালীন মূল্যায়নের ওপর নম্বর থাকবে ৩০ ভাগ। এরই মধ্যে এর রূপরেখা ঠিক করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড।

নতুন শিক্ষাক্রমে চলতি বছর মাধ্যমিক পর্যায়ে চলছিল কার্যক্রম। এটি নিয়ে শুরু থেকেই ছিল নানা সমালোচনা। পতিত স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের পতনের পর এই শিক্ষাক্রম থেকে সরে আগের শিক্ষাক্রমে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। তবে মূল্যায়ন পদ্ধতিতে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। 

বার্ষিক পরীক্ষায় প্রতিটি বিষয়ে ১০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা হবে। লিখিত পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ৭০ ভাগ নেওয়া হবে আর শিখনকালীন মূল্যায়ন হবে ৩০ ভাগ। এ দুয়ের প্রাপ্ত নম্বরের গড় করে বার্ষিক ফলাফল প্রস্তুত হবে। 

জানতে চাইলে এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, ‘মাধ্যমিকের যে শিক্ষা কারিকুলামটা ২০২২ খ্রিষ্টাব্দে অনুমোদিত সে অনুযায়ী পাঠ্যপুস্তক, শিখন সামগ্রী এবং মূল্যায়ন পদ্ধতি প্রচলন করা হয়েছিল। এটা নিয়ে শিক্ষানীতির সাথে গুরুতর ব্যত্যয় হয়েছে বলে আমার মনে হয়েছে।’ 

পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে সন্তুষ্ট শিক্ষার্থীরা। প্রস্তুতি শেষ করতে বার্ষিক পরীক্ষা নভেম্বরের পরিবর্তে ডিসেম্বরে নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন শিক্ষকরা। 

হাবিবুর নামের একজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘অনেকের প্রিপারেশন নেই যে পরীক্ষা দেবে। একদিক দিয়ে ভালো হচ্ছে জিনিসটা, পড়াশোনাটা আবার ফিরে আসছে।’ 

শিক্ষা গবেষকরা বলছেন, শিক্ষাক্রমে ধারাবাহিকভাবে পরিবর্তন করা হোক। সেই সঙ্গে যাচাই বাছাই করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মজিবুর রহমান বলেন, ‘একটা শিক্ষা কমিশন করা দরকার। ওই শিক্ষা কমিশনে থাকবে হলো শিক্ষাবিদ থেকে শুরু করে অভিভাবক, আমলাসহ সকল মত এবং রিপ্রেজেন্টেশন। তারা সজেস্ট করবে কোন পরীক্ষাটা কীভাবে হওয়া দরকার, কোন সিদ্ধান্তটা কীভাবে নেওয়া দরকার।’ 

নতুন পদ্ধতিতে ফলাফল হবে গ্রেডের ভিত্তিতে। গ্রেড হিসেবে থাকবে এ প্লাস, এ, এ মাইনাস, বি, সি, ডি এবং এফ ।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
আগের নিয়মে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গ্রন্থাগারিক নিয়োগের দাবি - dainik shiksha আগের নিয়মে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গ্রন্থাগারিক নিয়োগের দাবি শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিনিধিদের সাক্ষাৎ - dainik shiksha শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিনিধিদের সাক্ষাৎ মাদকের গডফাদারদের ধরার নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার - dainik shiksha মাদকের গডফাদারদের ধরার নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার শিক্ষা প্রশাসনে বদলি আতঙ্কে নাহিদ-দীপু সিন্ডিকেটের ৯২ কর্মকর্তা - dainik shiksha শিক্ষা প্রশাসনে বদলি আতঙ্কে নাহিদ-দীপু সিন্ডিকেটের ৯২ কর্মকর্তা দীপু মনি-রতন সিন্ডিকেটের ফিরোজই শিক্ষা অধিদপ্তরের এ ডি! - dainik shiksha দীপু মনি-রতন সিন্ডিকেটের ফিরোজই শিক্ষা অধিদপ্তরের এ ডি! বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই পক্ষের হাতাহাতি, সভা পণ্ড - dainik shiksha বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই পক্ষের হাতাহাতি, সভা পণ্ড শিক্ষকদের বদলির বিষয়ে সর্বশেষ - dainik shiksha শিক্ষকদের বদলির বিষয়ে সর্বশেষ অগ্রসর সমাজ তৈরির লক্ষ্যই বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলন - dainik shiksha অগ্রসর সমাজ তৈরির লক্ষ্যই বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলন দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0046329498291016