সময়াবদ্ধ সংস্কার পরিকল্পনা তৈরিতে গলদঘর্ম মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তর। এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা থাকলেও যথাসময়ে তা সম্পাদন করতে হিমশিম খাচ্ছেন অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
আজ বৃহস্পতিবার অফিস সময় শেষ হওয়ার আগেই ওই পরিকল্পনা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে দাখিল করার কথা থাকলেও গতকাল বুধবার অবধি পরিকল্পনা প্রস্তুত করা যায়নি বলে দৈনিক আমাদের বার্তাকে জানিয়েছে একাধিক সূত্র।
তবে অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বুধবার বিভিন্ন শাখাকে পৃথক পৃথকভাবে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের পরিকল্পনা করতে বলা হয়েছে। সব শাখার পরিকল্পনা আজ বৃহস্পতিবার সমন্বয় করে রোববারে জমা দেয়া হবে।
গত ৯ সেপ্টেম্বর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা চিঠিতে জানা গেছে, গত ৪ সেপ্টেম্বর প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম সচিব সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় প্রধান উপদেষ্টা প্রতিটি মন্ত্রণালয়/ বিভাগকে প্রয়োজনীয় সংস্কার পরিকল্পনা প্রণয়ন করে তা দাখিল ও বাস্তবায়নের জন্য মার্চিং অর্ডার
দেন। সে অর্ডারে সংস্কার পরিকল্পনা দাখিলের জন্য আজ বৃহস্পতিবার অফিস চলাকালীন সময় বেঁধে দেয়া হয়। চিঠির একটি কপি মাউশি অধিদপ্তরেও আসে। কিভাবে পরিকল্পনা জমা দিতে হবে তার নির্দেশনাও দেয়া হয় সংশ্লিষ্ট ছকে। তাতে বলা হয়, সংস্কার পরিকল্পনা বা কার্যক্রমের একটি শিরোনাম থাকবে, সংস্কার পরিকল্পনা বা কার্যক্রমের বর্ণনা থাকবে, এসব কারযক্রমের কাঙ্খিত ফল কী হতে পারে সে বিষয়ে ধারণা থাকবে, পরিকল্পনা গ্রহণ ও সমাপ্তির তারিখ উল্লেখ করতে হবে। এসবের সঙ্গে মন্তব্যের একটি ঘরও আছে ছকে।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানিয়েছে, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের চিঠিটিতে সব পরিষ্কার করে বলা থাকলেও মাউশি অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষা ক্যাডাররা খুব সম্ভবত নির্দেশনা বুঝতে ব্যর্থ হন। এ কারণে বুধবার অবধি তারা কোনো সংস্কার পরিকল্পনা তৈরি করতে পারেননি।