রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ বলেছেন, বাংলাদেশের জন্য অন্যতম বড় একটি চ্যালেঞ্জ হচ্ছে শিক্ষার গুণগতমান নিশ্চিত করা। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের শুধু পাঠ্যপুস্তক অধ্যয়নের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না। পাঠ্যবিষয়ের সাথে সাথে বহির্জগতের জ্ঞানভান্ডার থেকেও জ্ঞান আহরণ করতে হবে। পাশাপাশি তাদেরকে বাংলাদেশের ইতিহাস সম্পর্কেও জানতে হবে। নিজেদের কর্মী ও জ্ঞানী করে তোলাই শিক্ষার্থীদের প্রধান লক্ষ্য।
রাষ্ট্রপতি শুক্রবার (২৩ নভেম্বর) বিকেলে বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর আরো বলেন, জাতির উন্নয়ন, উন্নত সমাজ গঠন ও বিশ্বমানের গ্রাজুয়েট তৈরির লক্ষে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গুণগত মান, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা জরুরি। শিক্ষাসহ বিভিন্ন খাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কথা মাথায় রেখে সরকার শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন নিশ্চিতে বদ্ধপরিকর। উচ্চশিক্ষা যাতে কোনক্রমেই সনদসর্বস্ব না হয় তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
রাষ্ট্রপতি অসাধু ব্যবসায়ী, লুটেরা, মুনাফাখোর ও মজুতদারদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, এরা গুজব ছড়িয়ে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে। তিনি বলেন, পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। অসাধু ব্যবসায়ী, মুনাফাখোর, লুটেরা ও মজুতদারদের মধ্যেও ঐক্য রয়েছে। এখন এই সব দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সম্প্রতি পেঁয়াজ, লবন ও চালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে তিনি এই পরিস্থিতির তীব্র নিন্দা করেন। তিনি বলেন, এতে সাধারণ জনগণকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।
সমাবর্তনে মোট ৩ হাজার ২৫০ শিক্ষার্থী বিভিন্ন বিষয়ে গ্রাজুয়েট ডিগ্রী লাভ করে। এদের মধ্যে চারজন স্বর্ণ পদক পেয়েছে। অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি-মুন উপস্থিত ছিলেন।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি, বিশ্ববিদ্যালয়টির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারপার্সন তামারা হাসান আবেদ, ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ভিনসেন্ট চ্যাং ও কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্রী অরিত্র রায় আর্চ।