মানসম্মত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এমফিল-পিএইচডি চালুর বিষয়ে ভাবছে সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক |

মানসম্মত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এমফিল-পিএইচডি গবেষণা চালুর বিষয়ে সরকার চিন্তা ভবনা করছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। তিনি বলেছেন, বোর্ড অব ট্রাস্টির কোনো কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে কেনা গাড়ি চালানোর অভিযোগ আছে। অনেক কিছু আইনের অভাবে আমরা ধরতে পারি না। এসব বিষয়ে কাজ করার দায়িত্ব আছে গণমাধ্যমের। গণমাধ্যম এসব বিষয় তুলে আনলে সামাজিক চাপ তৈরি হয়। সরকারেরও ব্যবস্থা নিতে সুবিধা হয়। তবে, বেশকিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ভালো করছে। যারা ভালো করছে ও মান নিশ্চিত করছে তারা যাতে এমফিল-পিএইচডি গবেষণা আহ্বান করতে পারে সে বিষয়টি নিয়ে সরকার ভাবছে।

বুধবার (৩১ জুলাই) সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে বনানী ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুণগত শিক্ষা নিশ্চিতকরণে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

শিক্ষা উপমন্ত্রী আরও বলেন, কোনো কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাপারে কথা আসছে তারা বিদেশে গিয়ে সিন্ডিকেটসহ বিভিন্ন মিটিং করে থাকে। ওইসব মিটিংয়ের জন্য মোটা অঙ্কের টাকা সিটিং অ্যালাউন্স হিসেবে নেয়ার খবরও আছে। এমন বিশ্ববিদ্যালয়ও আছে যেখানে ১০-২০টি অতিরিক্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওইসব কমিটিতে আবার বোর্ড অব ট্রাস্টের সদস্য বা তাদের আত্মীয়স্বজন থাকেন। সেইসব কমিটির বৈঠক থেকেও সিটিং অ্যালাউন্সের নামে টাকা নেয়া হয়। এভাবে প্রতি মাসে সম্মানী হিসেবেই ২০-৩০ লাখ টাকা নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। 

সেমিনারে সম্মানীত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শহীদুল্লাহ ও সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম। বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম।

ইউজিসির চেয়ারম্যান ড. শহীদুল্লাহ বলেন, আগে চক আর ব্লাক বোর্ডে লিখতেন শিক্ষকরা। সেটারও ঘাটতি ছিল। এখন মাল্টিমিডিয়াসহ আধুনিক সরঞ্জামে শিক্ষকরা পাঠদান করেন। কিন্তু এরপরও শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন আছে। 

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগের আহ্বান জানিয়ে ইউজিসির চেয়ারম্যান আরও বলেন, বেশিরভাগ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকরা পড়াতে আসেন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। যারা আসেন তারা জানেন যে, তারা টাকার বিনিময়ে পড়াতে আসছেন। এতে দু’পক্ষই ক্ষতিগ্রস্ত হয়।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ - dainik shiksha শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল - dainik shiksha সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা - dainik shiksha রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা - dainik shiksha শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0050649642944336