বাংলাদেশ আর কোনো সংঘাত চায় না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা; তিনি জানিয়েছেন, জনগণের জীবনমানের উন্নতিই তার লক্ষ্য।
২০০৯ খ্রিষ্টাব্দে থেকে টানা সরকারে থাকায় গত ১৪ বছরে বাংলাদেশ আর্থ সামাজিক উন্নয়ন করেছে বলেও দাবি করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। তিনি বলেছেন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ টেকসেই উন্নয়নের শর্ত।
বাসস জানায়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে রোববার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছিলেন তার মেয়ে শেখ হাসিনা।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা আর কোনো অশান্তি, সংঘাত চাই না। আমরা মানুষের জীবনকে উন্নত করতে চাই এবং আমরা সর্বদা এটি কামনা করি।”
২০০৮ খ্রিষ্টাব্দের জাতীয় নির্বাচনে জিতে আওয়ামী লীগের সরকার গঠনের পর তিন মেয়াদে সরকার পরিচালনার কথাও তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, “অব্যাহত শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক পরিবেশের কারণে বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সক্ষম হয়েছে।”
সরকার পরিকল্পিতভাবে দেশের মানুষের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে বলেই দারিদ্র্যের হার ও মাতৃমৃত্যু কমানো গেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “আমরা শিক্ষার হার এবং মানুষের গড় আয়ু বাড়াতে সক্ষম হয়েছি।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, টেকসই ও শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক পরিবেশই বাংলাদেশের অভূতপূর্ব আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির ‘একমাত্র কারণ’।
“একটি শান্তিপূর্ণ টেকসই পরিবেশ জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনে সহায়ক এবং সকলকে এটি মনে রাখতে হবে।”
১৪ বছরের শাসনামলে দারিদ্র্যের হার ৪১ শতাংশ থেকে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশে নামিয়ে আনার বিষয়টিও উঠে আসে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে।
তিনি বলেন, “যেখানে অতি দারিদ্র্যের হার ছিল ২৫ দশমিক ৯ শতাংশ, তা আজ ৫ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে এসেছে।”
এ দেশে কোনো মানুষ দরিদ্র, গৃহহীন বা ভূমিহীন থাকবে না বলেও আশাবাদী সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, “প্রতিটি মানুষ অন্তত তাদের মৌলিক অধিকার- খাদ্য, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা ও বাসস্থান পাবে। আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।”
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ২১ বছর পর ১৯৯৬ খ্রিষ্টাব্দের আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় ফেরার কথাও উঠে আসে তার বক্তব্যে। তিনি বলেন, “তখন পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি করতে সক্ষম হয়েছিলাম। আমরা অন্তত এটা বলতে পারি যে আমরা একটি ভিত্তি তৈরি করেছি। মাঝখানে একটি অশান্ত পরিবেশ ছিল (২০০১ থেকে ২০০৮)।”