মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ইসরায়েল-ফিলিস্তিনবিষয়ক এক শীর্ষ কর্মকর্তা পদত্যাগ করেছেন। চলতি সপ্তাহে তিনি পদত্যাগ করেন।
শনিবার (২১ জুন) ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পদত্যাগ করা ওই শীর্ষ কর্মকর্তার নাম অ্যান্ড্রু মিলার। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তিনি পদত্যাগ করেছেন।
অ্যান্ড্রু মিলার তার সহকর্মীদের বলেন, গত অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া গাজা যুদ্ধের কারণে তিনি কোনো ব্যক্তিগত সময় পাচ্ছেন না। তিনি এখন পরিবারের সঙ্গে আরও বেশি সময় কাটাতে চান।
গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যার পরও দেশটির প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সমর্থন ভেতরে-বাইরে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হচ্ছে। বাইডেনের এমন নীতির প্রতি মিলারের আর কোনো আস্থা নেই বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটন। ইসরায়েলের প্রতি মার্কিন সমর্থনে কারণে বাইডেনের প্রশাসনের পদত্যাগ করা কর্মকর্তাদের মধ্যে সবশেষ ব্যক্তি হলেন তিনি।
কর্মকর্তাদের এ পদত্যাগকে ইসরায়েলের প্রতি বাইডেন প্রশাসনের অব্যাহত সমর্থনের ফলে সৃষ্ট ক্রমবর্ধমান হতাশার বহিঃপ্রকাশ বলে মন্তব্য করেছেন আলজাজিরার সংবাদিক কিম্বালি হ্যালকেট। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা পদত্যাগ করেছন। কারণ হিসেবে তারা বলছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট সত্যকে এড়িয়ে যাচ্ছেন এবং একচোখা আচরণ করছেন।
গত ফেব্রুয়ারিতে অধিকৃত পশ্চিম তীর এলাকায় ফিলিস্তিনি সমপ্রদায়ের ওপর হামলার অভিযোগে বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। সিএনএন জানিয়েছে, ওই নিষেধাজ্ঞার আদেশ জারিতে এ কর্মকর্তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।
এর আগে গত মে মাসে সাবেক মার্কিন সেনা কর্মকর্তা মেজর হ্যারিসন মান পদত্যাগ করেন। যুক্তরাষ্ট্রের অযোগ্য সমর্থনের অভিযোগে তিনি পদত্যাগ করেন। এরও আগে গত নভেম্বরে ডিফেন্স ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি (ডিআইএ) থেকে পদত্যাগ করেন মান।
এছাড়া গত ফেব্রুয়ারিতে ওয়াশিংটন ডিসিতে ইসরায়েলের দূতাবাসের বাইরে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করেন মার্কিন বিমান বাহিনীর কর্মী অ্যারন বুশনেল। গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যায় মার্কিন সমর্থনের প্রতিবাদে এমন কাণ্ড ঘটান তিনি।