নোয়াখালীর হাতিয়ায় মা ও মেয়েকে পিলারের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন ও সেই দৃশ্য ভিডিও করে টিকটকে ছড়িয়ে দেয়ার ঘটনার মূলহোতা মো. জিল্লুর রহমানকে (২৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাত ১০টায় চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার কুসুমপুরা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
শনিবার সকালে হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমির হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, মা ও মেয়েকে পিলারের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের ভিডিও টিকটকে ভাইরাল হওয়ার পর ওই স্কুলছাত্রীর বাবা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগ করার পর অভিযুক্ত জিল্লুর এলাকা থেকে গা ঢাকা দেন। মোবাইলফোন ট্রেকিংয়ের মাধ্যমে তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে শুক্রবার রাত ১০টায় চট্টগ্রামের পটিয়া থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জিল্লুর মা-মেয়েকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টিকটকে ছেড়ে দেয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
হাতিয়ার বুড়িরচর ইউনিয়নের রেহানিয়া গ্রামের ইদ্রিসদের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ ছিল একই এলাকার জহির উদ্দিনের ছেলে জিল্লুর রহমানসহ কয়েকজনের। এ নিয়ে তাদের মধ্যে একাধিকবার ঝগড়া ও শালিস বৈঠক হয়। গত ৯ ফেব্রুয়ারি সকালে স্কুলে যাওয়ার সময় ইদ্রিসের দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে কুসুম আক্তারকে (১৬) জিল্লুর তার লোকজন নিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করেন। কুসুমের চিৎকারে তার মা ঝুমুর (৩৫) এগিয়ে এলে তাকেও মারধর করেন।
একপর্যায়ে মা-মেয়েকে বেঁধে নির্যাতনের দৃশ্য ভিডিও ধারণ ও তা টিকটকে তাদের চোর হিসেবে উপস্থাপন করে ছেড়ে দেন তারা। এ ঘটনায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি থানায় একটি মামলা করেন ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা। মামলায় জিল্লুর রহমানকে প্রধান আসামি ও অজ্ঞাতপরিচয় আরও তিনজনকে আসামি করা হয়।