পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় মায়ের লাশ বাড়িতে রেখে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হয়েছে মো. মোস্তাফিজুর রহমান নামে এক শিক্ষার্থীকে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় তার মা মারা যান। মায়ের লাশ বাড়িতে রেখে রোববার রসায়ন দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষায় অংশ নিতে হয় তাকে।
মো. মোস্তাফিজুর রহমান আমান উল্লাহ মহাবিদ্যালয় থেকে এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, নয়াখালী মাটিভাংগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও গৌরীপুর ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের নিবাসী মরহুম বিপ্লব আকনের স্ত্রী লায়লা জেসমিন মুন্নী (৪০) দীর্ঘদিন দিন দুরারোগ্য ব্যাধি ক্যান্সারে ভুছিলেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতে যাওয়ার সব প্রস্ততি নিয়ে রেখেছিলেন তিনি। ছেলের পরীক্ষা শেষে হওয়র পরই তার ভারতে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শনিবার সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়।
তার এই মৃত্যুর খবরে পরিবারের সদস্যদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে। খবর পেয়ে আমান উল্লাহ মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষকরা উপস্থিত হয়ে শোকাহত মোস্তাফিজুরকে সান্ত্বনা দেন। সকালে তারা তাকে পরীক্ষা হলে নিয়ে যান।
আমান উল্লাহ মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষক মাকসুদুর রহমান জানান, মোস্তাফিজ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী হিসেবে এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। শনিবার রাতে তার মায়ের মৃত্যু হয়। মায়ের লাশ বাড়িতে রেখেই সে রোববার পরীক্ষায় অংশ নেয়।
পরীক্ষার পর দুপুরে সিকদার হাট মসজিদে জানাজা নামাজ শেষে জেসমিন মুন্নীকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।