মিথ্যা তথ্য দিয়ে কোন শিক্ষার্থী ডিজিটাল লটারি প্রক্রিয়ায় নির্বাচিত হয়ে থাকলে তাকে সরকারি-বেসরকারি স্কুলে ভর্তি না করার নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। আর শিক্ষার্থী অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন নম্বর বার বার পরিবর্তন করে মিথ্যা তথ্য দেয়ার মাধ্যমে একাধিকবার নির্বাচিত হয়ে থাকলে জালিয়াতির কারণে তাকেও স্কুলে ভর্তি করা যাবে না বলে সরকারি-বেসরকারি স্কুলের প্রধানদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের কাগজপত্র পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করে জন্ম সনদের মূল কপি, জন্ম সনদের অনলাইন কপি ও বাবা-মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্রের মূল কপি ভালো করে দেখে তাদের ভর্তি করতে সরকারি-বেসরকারি স্কুলগুলোকে বলা হয়েছে। লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিয়ে সরকারি-বেসরকারি স্কুলের প্রধানদের এসব নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর।
ডিজিটাল লটারি প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে ভর্তির জন্য নির্বাচিত নতুন শিক্ষার্থীদের ভর্তি আজ রোববার (১৮ ডিসেম্বর) থেকে শুরু হয়েছে। আগামী বুধবারের (২১ ডিসেম্বর) মধ্যে শিক্ষার্থীদের নির্বাচিত স্কুলে ভর্তি হতে হবে। আর ২২ থেকে ২৭ ডিসেম্বর অপেক্ষমান তালিকা থেকে সরকারি-বেসরকারি স্কুলগুলোতে ভর্তির সুযোগ পাবেন শিক্ষার্থীরা।
সরকারি-বেসরকারি স্কুলগুলো প্রধানদের পাঠানো নির্দেশনাটি দৈনিক শিক্ষাডটকমের হাতে এসেছে। মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তি নেয়ার সময় কয়েকটি বিষয় অনুসরণ করতে সরকারি-বেসরকারি স্কুলগুলোকে বলেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। এগুলোর মধ্যে আছে, ভর্তির সময় নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের কাগজপত্র পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করতে হবে, নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের কাগজপত্র যাচাইয়ের সময় শিক্ষার্থীর জন্ম সনদের মূল কপি, জন্ম সনদের অনলাইন কপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অনলাইনে যাচাই করতে হবে), বাবা-মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্রের মূল কপি ভালো করে দেখতে হবে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, মিথ্যা তথ্য দিয়ে কোন শিক্ষার্থী নির্বাচিত হয়ে থাকলে (যাচাই সাপেক্ষে) তাকে ভর্তি করা যাবে না। একই শিক্ষার্থী অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন নম্বর বার বার পরিবর্তন করে মিথ্যা তথ্য দেয়ার মাধ্যমে একাধিকবার নির্বাচিত হয়ে থাকলে (যাচাই সাপেক্ষে) জালিয়াতির কারণে তাকে ভর্তি করা যাবে না। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সর্বশেষ জারি করা ভর্তি নীতিমালায় যেসব কোটা সংরক্ষিত রয়েছে ভর্তির সময়ে ওইসব কোটায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের কোটা সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র যথাযথভাবে যাচাই করতে হবে।
শুধুমাত্র মুক্তিযোদ্ধা কোটা ছাড়া অন্যান্য সংরক্ষিত কোটায় শূন্য আসন পূরণ না হলে সাধারণ নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে অপেক্ষমান তালিকার ক্রমানুসারে ওইসব শূন্য আসন পূরণ করতে হবে। কোনভাবেই আসন শূন্য রাখা যাবে না।
নিদেশনায় অধিদপ্তর আরও বলেছে, সহোদর বা যমজ ভাই-বোনের ভর্তি বিষয়ে সরকারি ও বেসরকারি ভর্তি নীতিমালা- ২০২২ এ স্পষ্টীকরণ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে নীতিমালা অনুযায়ী সহোদর সহোদরা বা যমজ ভাই-বোনকে সংশ্লিষ্ট ভর্তি কমিটি আবেদন যাচাই-বাছাই করে ভর্তির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। তবে এ সুবিধা কোন দম্পতির সর্বোচ্চ দুই সন্তানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারি করা সর্বশেষ ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। এসব নির্দেশনা অনুসরণ না করে বিধিবহির্ভূতভাবে কোন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হলে এবং পরবর্তীতে তা প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধান দায়ী থাকবেন।
জানা গেছে, গত ১২ ডিসেম্বর ৫৪০টি সরকারি স্কুলে ভর্তির লটারির ফল প্রকাশ করা হয়। এ প্রতিষ্ঠানগুলোতে ৯৯ হাজার ২৯০ জন শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত হয়েছিলেন। আর গত ১৩ ডিসেম্বর বেসরকারি ২ হাজার ৮৫২টি স্কুলে ভর্তির লটারির ফল প্রকাশ করা হয়। এ প্রতিষ্ঠানগুলোতে ১ লাখ ৯১ হাজার ৪৯৭ জন ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ডিজিটাল লটারিতে অংশ নিয়ে সরকারি স্কুলে ভর্তির অপেক্ষমান তালিকায় স্থান পেয়েছিলেন আরও প্রায় এক লাখ শিক্ষার্থী। আর বেসরকারি স্কুলগুলোতে আবেদন থাকা সাপেক্ষে ভর্তিচ্ছুরা অপেক্ষমান তালিকায় স্থান পেয়েছেন।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।