দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক : রাজধানীর মিরপুরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভে নেমেছেন। সড়ক অবরোধ করায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে পুলিশ।
ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বন্ধের ঘোষণার প্রতিবাদে রোববার সকাল থেকে মিরপুর-১, ১১, কালশী এবং ১০ নম্বর গোলচত্বর থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত রোকেয়া সরণী বিভিন্ন অংশে অবস্থান নেয় চালকরা।
তারা লাঠি হাতে সড়কের বিভিন্ন অংশে অবস্থান নিয়ে অবরোধ করায় যান চলাচল স্থবির হয়ে পড়েছে। কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। অফিসগামী ও কর্মমুখী মানুষদের পড়তে হয়েছে ভোগান্তিতে।
বিক্ষুব্ধ চালক কয়েকজন প্যাডেলচালিত রিকশাচালককে মারধর এবং কয়েকটি বাসের কাচ ভাঙচুর করেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
এদিকে দাবি না মানা পর্যন্ত রাস্তায় থাকার ঘোষণা দিয়েছে বিক্ষুব্ধরা। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সমঝোতার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।
মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুন্সি সাব্বির আহমেদ বলেন, বিভিন্ন এলাকা থেকে অটোরিকশাচালকরা মিরপুর-১০ নম্বর চত্বরে এসে জড়ো হয়ে অবস্থান করছেন। কোনো যানবাহনকে চলাচল করতে দিচ্ছেন না।
তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অটোরিকশাচালকদের সঙ্গে কথা বলছে পুলিশ। তাদের বুঝিয়ে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
গত ১৫ মে ফিটনেসহীন বাস ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বন্ধের নির্দেশ দেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ব্যাটারিচালিত কোনো গাড়ি (তিন চাকার) যেনো ঢাকা সিটিতে না চলে।
রাজধানীর প্রায় সব জায়গায় এতোদিন দাপটের সাথে চলছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। মিরপুর, মোহাম্মদপুর, বাড্ডা, মুগদা, বাসাবো, খিলক্ষেত, মগবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় হাজার হাজার অটোরিকশা চলাচল করছে।
রাত হলেই গলিপথ ছেড়ে রাজপথ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এসব রিকশা। অনিয়ন্ত্রিত এই বাহনের কারণে পাড়া মহল্লাতেও লেগে থাকে যানজট।
রাজধানীসহ সারাদেশেই বিশৃঙ্খল সড়ক পরিস্থিতির অন্যতম কারণ হিসেবে দেখা দিয়েছে অনিয়ন্ত্রিত ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘ জট ও দুর্ঘটনা ঘটছে এই যানবাহনের কারণে।
তবে হঠাৎ করে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বন্ধের নির্দেশে বিপাকে পড়ে যায় চালকরা। আর ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে আরও নানা উপখাত। সব মিলে এই খাত ঘিরে গেলো কয়েক বছরে নীরবেই গড়ে উঠেছে লাখো মানুষের কর্মসংস্থান, চিন্তায় পড়েছেন তারাও।