দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক: সবাই চায় তাদের সন্তান যেনো নৈতিক শিক্ষা লাভ করে আদর্শ মানুষ হয়ে দেশের সর্বোচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়ে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়েন। কিন্তু সঠিক দিক-নির্দেশনা না পাওয়ার তারা কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছুতে পারেন না। তাই ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে প্রথম পছন্দ হোক মিরপুর সাইন্স কলেজ।
২০২২ খ্রিষ্টাব্দের এইচএসসি পরীক্ষায় (১ম ব্যাচ) ৬৭ জন এ প্লাসসহ শতভাগ পাস ও ভর্তি পরীক্ষায় মিরপুর সাইন্স কলেজের শিক্ষার্থীরা অভাবনীয় সফলতা পেয়েছে।
এ ছাড়া ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দে এইচএসসি পরীক্ষায় ২য় ব্যাচ থেকে ১৬৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৫১ জন জিপিএ-৫ সহ শতকরা ৯৭ ভাগ পাস করেছেন। তাদের মধ্যে ৪০ জন শিক্ষার্থী সরকারি মেডিক্যাল কলেজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও পাবলিক প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েছেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ঢাকা শিক্ষাবোর্ড এবং নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে পছন্দের তালিকার (চয়েজ) মাধ্যমে ‘মিরপুর সাইন্স কলেজে’ ভর্তি হতে হবে। ম্যানুয়ালি ভর্তি হওয়া যাবে না।
বোর্ড পরীক্ষায় এ প্লাস এর পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের নৈতিক শিক্ষার মাধ্যমে আদর্শ মানুষ হিসেবে তৈরি করা এবং তাদের সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ নির্মাণের জন্য দেশের উল্লেখযোগ্য স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির উপযোগী করে গড়ে তোলা। এ কলেজের কোনো শিক্ষার্থীকে আলাদাভাবে অন্য কোথাও প্রাইভেট বা কোচিং করতে হয় না।
.jpg)
এইচএসসি পরবর্তী ভর্তি পরীক্ষার সময় তুলনামূলকভাবে কম। তাই বোর্ড পরীক্ষায় এবং ভর্তি পরীক্ষায় সফলতার জন্য একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি একাদশ শ্রেণি থেকেই মেডিক্যাল, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি প্রস্তুতি সম্পন্ন করার লক্ষ্যে কলেজের ক্লাস শেষে সপ্তাহে ৪ দিন ফ্রি কোচিং ক্লাসের মাধ্যমে ভর্তি পরীক্ষার প্রস্ততি সম্পন্ন করা হয়।
নটরডেম কলেজের মতো প্রতি সপ্তাহে ২টি বিষয়ে কুইজ টেস্ট, দুই দিন ব্যবহারিক ক্লাস, প্রতি মাসে ১ দিন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার অনুরূপ মেধা যাচাই পরীক্ষা এবং বছরে ৩টা সেমিস্টার পরীক্ষা নেয়া হয়, যা ভর্তি পরীক্ষার জন্য তার ভিত্তিমূল অনেক শক্তিশালী করে।
কলেজের প্রতি ক্লাসে শিক্ষার্থীর সংখ্যা সর্বোচ্চ ৩০/৪০ জন এবং সকল শ্রেণিকক্ষ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। ছেলেদের ও মেয়েদের আলাদাভাবে এবং আলাদা ফ্লোরে পাঠদান করা হয়। শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনে মালটিমিডিয়া ও প্রজেক্টরের মাধ্যমে শ্রেণি কক্ষে পাঠদানের ব্যবস্থা আছে।
শিক্ষার্থীদের পরিপূর্ণ শারীরিক ও মানসিক বিকাশের লক্ষ্যে মিরপুর সাইন্স কলেজে পাঠ্যপুস্তকের পাশাপাশি সাইন্স ক্লাব, বিতর্ক, শিক্ষা সফর, বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, কলেজ ম্যাগাজিন প্রকাশ, ম্যাথ অলিম্পিয়াড, নেচার ক্লাব, স্পোর্টস ক্লাবসহ বিভিন্ন ধরনের সহ-শিক্ষা কার্যক্রম সক্রিয় আছে। এ কলেজে ডিজিটাল স্ক্যানিং মেশিনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের হাজিরা সংগ্রহ করা হয় অর্থাৎ শিক্ষার্থীদের কলেজে প্রবেশ এবং বের হওয়ার সময় স্বয়ংক্রিয়ভাবে অভিভাবকদের মোবাইলে এসএমএস চলে যায়।
