প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার অভিযোগে করা মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে কেন জামিন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। এক সপ্তাহের মধ্যে সরকারকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এদিন আদালতে মির্জা ফখরুলের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও সগীর হোসেন লিয়ন।
এ মামলায় মির্জা ফখরুলের জামিন আবেদনটি শুনানির জন্য গত সোমবারের (৪ ডিসেম্বর) কার্যতালিকায় ছিল। পরে বিষয়টি উপস্থাপন করে শুনানির জন্য আর্জি জানালে হাইকোর্টের একই বেঞ্চ আজকের দিন ঠিক করেন।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশ চলাকালে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় মির্জা ফখরুল হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেছিলেন গত ৩ ডিসেম্বর। বিএনপির আইনজীবীরা তার পক্ষে এ আবেদন জমা দেন। তার আগে গত ২২ নভেম্বর এ মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন নামঞ্জুর করেন নিম্ন আদালত।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গত ২৯ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গুলশানের বাসা থেকে আটক করে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরদিন জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
গত ২৮ অক্টোবর (শনিবার) বিএনপির মহাসমাবেশ চলাকালে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে রমনা থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। সেই মামলায় মির্জা ফখরুল ছাড়াও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ ৫৯ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
ফখরুল-আব্বাস ছাড়াও মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন— বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, আব্দুল আওয়াল মিন্টু, আহমেদ খান, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, ভিপি জয়নাল, মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ফরহাদ হালিম ডোনার ও সদস্যসচিব আমিনুল হক প্রমুখ।