কুমিল্লার দাউদকান্দিতে তানিশা (৬) নামে এক মাদরাসাছাত্রীকে অপহরণের পর দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। টাকা না দেয়ায় তারা ওই ছাত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ ভুট্টাখেতে ফেলে রাখে।
এদিকে হত্যাকারীদের বিচার দাবিতে তানিশার লাশ নিয়ে বিক্ষোভ করেছে স্বজনরা। শনিবার রাতে ভুট্টাখেত থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্ত শেষে রোববার বিকালে দাউদকান্দি মডেল থানার সামনে লাশ নিয়ে বিক্ষোভ করে তারা। একপর্যায়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিশ্বরোড অবরোধ করে। এ সময় মহাসড়কের উভয় পাশে যানবাহন আটকা পড়ে। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহিনুল হাসান, মেয়র নাইম ইউসুফ সেইন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির আশ্বাস দিলে বিক্ষোভকারীরা অবরোধ তুলে নেন।
তানিশা ওই উপজেলার সদর উত্তর ইউনিয়নের কান্দারগাঁও গ্রামের প্রবাসী রাসেল মিয়ার মেয়ে। সে স্থানীয় জান্নাতুল মাওয়া মহিলা মাদরাসায় প্রথম শ্রেণিতে পড়ত। শনিবার বিকাল ৩টার পর তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।
চাচা ফয়সাল বলেন, অপরিচিত নম্বর থেকে আমার কাছে তানিশা কোথায় জানতে চায়। বাড়িতে আছে বললে তারা বলে, বাড়িতে নেই, আমাদের কাছে আছে। নিতে হলে দুই লাখ টাকা লাগবে। বিষয়টি আমাদের মেম্বারকে জানাই। মেম্বার পুলিশকে জানায়। পুলিশ মোবাইল ট্রেকিংয়ের মাধ্যমে স্থানীয় আহাম্মদ আলীর ছেলে মাহফুজকে (২৫) রাতে আটক করে। তার দেয়া তথ্যমতে বাড়ির পাশের ভুট্টাখেত থেকে তানিশার লাশ উদ্ধার করা হয়।
শিশুটির মা শারমিন আক্তার জানান, অপহরণকারীদের ২৫ হাজার টাকাও দেয়া হয়েছে। এরপরও তারা আমার মেয়েকে বাঁচাতে দিল না। এ কথা বলেই বারবার মূর্ছা যান। দাউদকান্দি মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ আলমগীর ভূঞা বলেন, এ ঘটনায় তানিশার মা থানায় মামলা করেছেন।