ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তিযোদ্ধা সনদ জালিয়াতির মাধ্যমে ভর্তি হওয়া এক শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব বাতিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম আব্দুল লতিফ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
ছাত্রত্ব বাতিল করা এই শিক্ষার্থীর নাম আনোয়ার হোসেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হয়েছিলেন। আনোয়ার কুষ্টিয়া সদর উপজেলার খাজানগর গ্রামের বাবর আলীর ছেলে।
জানা যায়, আনোয়ারের মুক্তিযোদ্ধা সনদ জালিয়াতির ঘটনা তদন্তে গত ১৫ অক্টোবর দুই সদস্যের একটি কমিটি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কমিটির আহ্বায়ক প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান। আর সদস্যসচিব হলেন উপরেজিস্ট্রার (শিক্ষা) শফিকুল ইসলাম।
তদন্ত কমিটির সদস্যরা জানান, আনোয়ার কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার তেঘরিয়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সাত্তারের নাতি পরিচয় দিয়ে তাঁর সনদ ব্যবহার করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। কিন্তু অনুসন্ধানে জানা যায়, ওই মুক্তিযোদ্ধার আনোয়ার হোসেন নামে কোনো নাতি নেই। কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে গতকাল জরুরি সভা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী বলেন, ‘আনোয়ারের বিরুদ্ধে আসা অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হওয়ায় আমরা তার ভর্তি বাতিল করেছি। মুক্তিযোদ্ধা কোটা একটি আদর্শিক কোটা। এ কোটায় জালিয়াতি করে ভর্তি হওয়াটা গর্হিত অপরাধ। মুক্তিযোদ্ধাদের সনদ জালিয়াতি করে ভর্তি হওয়া অপরাধীদের ধরতে আমরা কঠোর অবস্থানে যাব।’