ইরানের বিরুদ্ধে জেতার পর সোশ্যাল মিডিয়ার ছবিগুলিতে এক ইংল্যান্ড সমর্থককে অদ্ভুত বেশে দেখা গেছে। তিনি সেন্ট জর্জের স্টাইলে ক্রুসেডারের পোশাক পরে গালে ইংল্যান্ডের পতাকা এঁকে ভিড়ের মধ্যে দিয়ে হেঁটে চলেছেন। ইরানের বিরুদ্ধে ইংল্যান্ডের ৬-২ গোলে জয়ের আগে কিছু ভক্তকে স্টেডিয়ামের বাইরে নিরাপত্তারক্ষীরা থামিয়ে দেন।
একজন ক্রুসেডার খেলার পরে টকটিভির সাথে কথা বলার সময় সমর্থকদের সাথে নিরাপত্তারক্ষীদের আচরণের নিন্দা করেন।তিনি বলেছেন-'' ২৫০ পাউন্ড দিয়ে এক রাতে ফ্যান-জোনে থাকার জন্য আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান বলে মনে করি কিন্তু সমস্যা হল কাতারের মতো জায়গায় তারা যা বুঝতে পারে না তা হলো ভক্তরা খেলারই অংশ।আমরাই খেলা বানাই , এটা কর্পোরেট ক্ষেত্র নয়। তারা হয়তো আর্থিকভাবে সাহায্য করে, আমরাই আসল ভক্ত যারা ফুটবল তৈরি করি এবং আমরাই ফুটবল।”টুইটারে এক ব্যক্তি বলেছেন: "বিশ্বকাপে ক্রুসেডারের পোশাক পরা ইংল্যান্ডের ভক্তরা পশ্চিমা অহঙ্কারের শীর্ষ। " অন্য একজন বলেছেন: "এই বিশ্বকাপ কাতারে না হওয়ার অনেক কারণ রয়েছে, তবে ক্রুসেডারের পোশাকে মধ্যপ্রাচ্যে গেলে আপনাকে নিশ্চয় স্বাগত জানানো হবে না। " তৃতীয় একজন যোগ করেছেন: "কাতারে ক্রুসেডারের পোশাক পরা বেশ সাহসী ব্যাপার।
"১০৯৫এবং ১২৯১ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে যখন খ্রিস্টান সেনাবাহিনী ইসলামিক স্টেটের কাছ থেকে জেরুজালেম দখল করার জন্য লড়াই করেছিল তখন কাতারে ক্রুসেডার পোশাকগুলি বিতর্কের জন্ম দেয়। বর্ণবাদ বিরোধী গোষ্ঠী কিক ইট আউটের একজন মুখপাত্র ভক্তদের সতর্ক করেছেন যে 'ইংল্যান্ডে যে পোশাক চলে, কাতারে এতটা জনপ্রিয় নাও হতে পারে এবং স্টেডিয়ামের কর্মকর্তাদের সেটি পছন্দ নাও হতে পারে'।