শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছ থেকে মূল্যায়নের নির্দেশিকা অপ্রাসঙ্গিক কমিউনিটি কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানোর প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্ত বোর্ড (এনসিটিবি)।
বৃস্পতিবার জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের এ সংক্রান্ত মূল চিঠি সংযুক্ত করে প্রকাশ করেছে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর।
জানা যায়, জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০২২ এর আলোকে যষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের যাণ্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন গত বুধবার থেকে দেশব্যাপী একসঙ্গে শুরু হয়েছে। এই ষাণ্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়নের নির্দেশনা প্রতিটি বিষয়ের মূল্যায়নের আগের দিন নৈপুণ্য অ্যাপের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান প্রধানের নিজস্ব আইডিতে পাঠানো হচ্ছে।
যদিও এই মূল্যায়ন নির্দেশনা কোনো শিক্ষার্থী আগে থেকে জেনে গেলেও সামগ্রিক মূল্যায়ন কার্যক্রমে কোনো ধরনের বিঘ্ন সৃষ্টি হবে না, তবুও পরীক্ষার হলে প্রবেশের আগেই এই মূল্যায়ন নির্দেশনা কিছু প্রতিষ্ঠান প্রধান বিভিন্ন মহলের সঙ্গে শেয়ার করায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে।
যার ফলে, কিছু অসাধু ব্যক্তি এবং সংস্থা এই মূল্যায়ন নির্দেশনা বিভিন্ন অসত্য, ভুল, অপ্রাসঙ্গিক এবং বিভ্রান্তিকর সমাধান ইউটিউব এবং অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে।
এই বিভ্রান্তিকর সমাধান শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবককে ব্যপকভাবে বিভ্রান্ত করছে এবং মূল্যায়ন কার্যক্রম বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে।
প্রতিষ্ঠান প্রধান ও প্রধান শিক্ষকের নিজস্ব আইডিতে পাঠানো এই মূল্যায়ন নির্দেশনা বাইরের যে কারো সঙ্গে শেয়ার করা শিক্ষকতার নৈতিকতা বিরোধী কার্যক্রম এবং চরম অ-শিক্ষকসুলভ আচরণ।
উল্লেখ্য, নৈপুণ্য অ্যাপের ইউজার আইডির মাধ্যমে এই মূল্যায়ন নির্দেশনা ডাউনলোড এবং বিস্তরণ কার্যক্রম ট্র্যাকিং করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা আছে। এই ট্র্যাকিং-এর আলোকে কোনো প্রতিষ্ঠান প্রধান মূল্যায়ন নির্দেশিনা কোনো অপ্রাসঙ্গিক কমিউনিটি কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ারের বিষয় প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।