‘মৃত্যুর খবর শোনার আগেই এমপিওভুক্তির ঘোষণা দেবেন প্রধানমন্ত্রী’

নিজস্ব প্রতিবেদক |

অনশন চলাকালে মৃত্যুর খবর শোনার আগেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব স্বীকৃতিপ্রাপ্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির ঘোষণা দেবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার। সভাপতি বলেন, টানা সাত দিন আন্দোলন চালিয়ে গেলেও আমাদের সঙ্গে কেউ কথা বলেনি। অনেকে অসুস্থ হয়েছেন। মন্ত্রণালয় বা অধিদপ্তর আমাদের ন্যায্য দাবি আদায়ে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।

এমপিওভুক্তির দাবিতে শিক্ষকদের অনশনের তৃতীয় দিন ( আজ মঙ্গলবার) চলছে। বামপন্থী কয়েকটি রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ শিক্ষকদের অনশনে সংহতি প্রকাশ করেছে। এছাড়া বিরোধী দলের নেত্রী বেগম রওশন এরশাদ বিবৃতি দিয়ে এমপিওভুক্তির দাবী জানিয়েছেন।

টানা অবস্থান কর্মসূচির পর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে তৃতীয় দিনের মতো অনশন পালন করছেন শিক্ষকরা। পহেলা জানুয়ারি সারা দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বই উৎসব পালন করা হলেও শিক্ষকদের থাকতে হলো ঢাকার রাজপথে।
আমরণ অনশনের দ্বিতীয় দিনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষক-কর্মচারীরা শারীরিক ও মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছেন। গতকাল ১৬ জন শিক্ষক-কর্মচারী অসুস্থ হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষক নেতারা। এর মধ্যে কুড়িগ্রামের চিলখালা মডেল কলেজের মো. ফরহাদ, কুষ্টিয়ার খোকসা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আব্দুর রাজ্জাক, বরিশালের আল ইখওয়াসা দাখিল মাদরাসার ফজলুর রহমানের অবস্থা গুরুতর।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ বিনয় ভূষণ রায় বলেন, ‘গত শনিবারের জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষায় আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো ভালো ফলের কৃতিত্বের দাবিদার হলেও আমরা আনন্দের অংশীদার হতে পারিনি। বই উৎসবেও অংশগ্রহণ করতে পারিনি। ’

আমরণ অনশন কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠন। শিক্ষকদের দাবি দ্রুত মেনে নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। তিনি বলেন, ‘শিক্ষকরা যদি আমরণ অনশন না ভাঙেন তবে এটা পুরো জাতির জন্য লজ্জার। এ লজ্জায় আমাদের ফেলবেন না। সরকারের আশ্বাসে নয়, কার্যকরী সিদ্ধান্তে বিশ্বাস করেন শিক্ষকরা। তাঁদের আশায় রেখে আর টালবাহানা করবেন না। একেকজন শিক্ষক ১২ থেকে ২০ বছর পর্যন্ত বেতন পান না। এটা আমাদের জন্য যন্ত্রণার, কষ্টের। সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের লজ্জা থাকা দরকার। ’

আমরণ অনশনে সংহতি প্রকাশ করতে আসা ডক্টরস ফর হেলথ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টের সভাপতি ও বারডেম হাসপাতালের অধ্যাপক এম এ সাঈদ বলেন, ‘আমিও শিক্ষক। আমি ডাক্তার হতে আসা ছাত্রদের পড়াই। কিন্তু ওদের এ পর্যন্ত আসার জন্য এই স্কুল শিক্ষকদের মহান দায়িত্ব ছিল। তাঁদের কারণেই আমরা এ পর্যায়ে। তাঁদের অভুক্ত রেখে জাতি গঠন সম্ভব নয়। ’

এ ছাড়া সংহতি জানান গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার সমন্বয়ক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল হাকিম, বাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বজলুর রশিদ ফিরোজ ও খালেকুজ্জামান লিপন, ন্যাপের সম্পাদক পার্থ সারথী চক্রবর্তী, সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য ক্বাফি রতন ও জলি তালুকদার, ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা আকবর খান প্রমুখ।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
স্কুল-কলেজ শিক্ষকদের এপ্রিল মাসের এমপিওর চেক ছাড় - dainik shiksha স্কুল-কলেজ শিক্ষকদের এপ্রিল মাসের এমপিওর চেক ছাড় শ্রেষ্ঠ শিক্ষকের মানদণ্ড কী? - dainik shiksha শ্রেষ্ঠ শিক্ষকের মানদণ্ড কী? অবসর-কল্যাণে শিক্ষার্থীদের দেয়া টাকা জমার কড়া তাগিদ - dainik shiksha অবসর-কল্যাণে শিক্ষার্থীদের দেয়া টাকা জমার কড়া তাগিদ কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে সুপ্রিম কোর্টের ফতোয়ার রায় পাঠ্যপুস্তকে নিতে হবে - dainik shiksha সুপ্রিম কোর্টের ফতোয়ার রায় পাঠ্যপুস্তকে নিতে হবে সরকারি কলেজ মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদিমের চাকরি জাতীয়করণ দাবি - dainik shiksha সরকারি কলেজ মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদিমের চাকরি জাতীয়করণ দাবি শিক্ষকের বেতন ও শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে কাজ চলছে: শিক্ষামন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষকের বেতন ও শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে কাজ চলছে: শিক্ষামন্ত্রী বিএসসি মর্যাদার দাবিতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের মাসব্যাপী কর্মসূচি - dainik shiksha বিএসসি মর্যাদার দাবিতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের মাসব্যাপী কর্মসূচি please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0044209957122803