মেজবাহর বেয়াই, ঢাকার এডিসি ও ডিইওর কান্ডে শিক্ষা অধিদপ্তরে ক্ষোভ

দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক |

তারা দুজনই ২০০৭ থেকে শিক্ষা ভবনে আছেন। বিগত বিএনপি আমলে বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে চাকরিকালে ঘুষের অভিযোগে বরখাস্ত করা হয় স্বামীকে। তারপর তদবির করে বরখাস্ত আদেশ বাতিল করে ঢাকায় শিক্ষা ভবনে চলে আসেন ২০০৭ সালে। আর স্ত্রী ফরিদপুর থেকে শিক্ষা ভবনের সেসিপ প্রকল্পে আসেন ২০০৯ সালে। দুজনই তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের লোক। ৩০৬ মডেল প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে বরখাস্ত হন স্বামী। দুদক তদন্ত শুরু করে। কিন্তু  অফিসার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিনকে বেয়াই বানিয়ে থামিয়ে দেন দুদকের তদন্ত।

কয়েকবছর পর ঘুষের অভিযোগ দীপু মনি বদলি করেন ভোলায়্। কিন্তু বেয়াই মেজবাহর তদবির ঠেকে যায় বদলি। চলে আসেন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনিস্টিটিউটে। গত ৬ আগস্টের সকালের শিশিরে হাত-পা ভিজিয়ে মেজবাহর বেয়াই ও বেয়ান হয়ে যান বিএনপির লোক। এখন তদবির করছেন মাউশি অধিদপ্তরের পরিচালক হওয়ার। আর স্ত্রী চার বছর ধরে বহাল আছেন একটা প্রকল্পের পিডি হিসেবে। তিনিও ৬ আগস্টের সকালের শিশিরে হাতপা ধুয়েছেন। তবে, ২রা অক্টোবর সকালে একটু মন  খারাপ হয়েছিলো দুইজনের। বেয়াই মেজবাহ ধরা পড়েছেন পুলিশের হাতে।   

এদিকে মাউশি অধিদপ্তর জানায়, অধ্যাপক পদে পদোন্নতি ও পদায়ন নিয়ে মাউশি মহাপরিচালকের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন একদল শিক্ষক। গত দুই দিন তাঁরা দফায় দফায় বৈঠকও করেছেন মহাপরিচালকের সঙ্গে।

জানা যায়, গত ২৩ সেপ্টেম্বর সহযোগী অধ্যাপক পর্যায়ের ৯২২ জন কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিয়ে অধ্যাপক করা হয়।

বৈঠকে অংশ নেওয়া শিক্ষক নেতারা জানান, পদ ফাঁকা থাকলেও অনেকেই পদোন্নতি পাননি। আবার যারা পদোন্নতি পেয়েছেন, তাঁদের পদায়নেও যথাযথ নিয়ম মানা হচ্ছে না।

শিক্ষক নেতারা আরও জানান, দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা বড় একটি রাজনৈতিক দলের সমর্থকদেরও ঢাকায় ভালো পদায়ন দেওয়া হচ্ছে না। আর বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের চিহ্নিত সুবিধাভোগীদের আবারও গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়নের পাঁয়তারা শুরু হয়েছে।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক নেতা বলেন, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী দীপু মণির মাধ্যমে মাউশির একটি প্রকল্পের পরিচালক হওয়া এক নারী কর্মকর্তার স্বামীকে আবারও মাউশি পরিচালক অথবা প্রকল্প পরিচালক পদে পদায়নের চেষ্টা চলছে।

এদিকে ঢাকার জেলা শিক্ষা অফিসার সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের আত্মীয় পরিচয়ে ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতা হিসেবে ঢাকায় লুটপাট করেছেন। বিনামূল্যের পাঠ্যবই বিক্রি নিয়ে কেলেঙ্কারি করেছেন জেলা শিক্ষা অফিসার। ঢাকার বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানরা তার অপসারণ দাবি করছেন। একই সঙ্গে  ঢাকার েএডিসি শিক্ষা মমতাজ ছিলেন ঢাবির ছাত্র লীগ নেত্রী। সেই পরিচয়ে কোটি কোটি টাকা কামিয়েছেন ঢাকার বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে। তারও অপসারণ দাবি বেসরকারি শিক্ষকদের। 

সার্বিক বিষয়ে মাউশি মহাপরিচালক অধ্যাপক এ বি এম রেজাউল করীম বলেন, যাঁদের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ আছে, তাঁদের পদায়নের ক্ষেত্রে বিষয়গুলো গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা হবে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ইএফটিতে বেতন দিতে এমপিও আবেদনের সময় এগোলো - dainik shiksha ইএফটিতে বেতন দিতে এমপিও আবেদনের সময় এগোলো জবিতে ভর্তির প্রাথমিক আবেদন শুরু ১ ডিসেম্বর - dainik shiksha জবিতে ভর্তির প্রাথমিক আবেদন শুরু ১ ডিসেম্বর সরকারি-বেসরকারি স্কুলে ভর্তি: দশ দিনে আবেদন প্রায় ৬ লাখ - dainik shiksha সরকারি-বেসরকারি স্কুলে ভর্তি: দশ দিনে আবেদন প্রায় ৬ লাখ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৮ সদস্যের কমিটি ঘোষণা - dainik shiksha বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৮ সদস্যের কমিটি ঘোষণা কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে ধারণা বাড়াতেই পাঠ্যক্রমে তথ্য অধিকার আইন বিষয় যুক্ত: এনসিটিবি চেয়ারম্যান - dainik shiksha ধারণা বাড়াতেই পাঠ্যক্রমে তথ্য অধিকার আইন বিষয় যুক্ত: এনসিটিবি চেয়ারম্যান কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক শিক্ষক নিবন্ধন ভাইভা: ২১তম দিনে যেসব প্রশ্নের মুখোমুখি - dainik shiksha শিক্ষক নিবন্ধন ভাইভা: ২১তম দিনে যেসব প্রশ্নের মুখোমুখি সরকারি কলেজ প্রদর্শকদের পদোন্নতির খসড়া প্রকাশ - dainik shiksha সরকারি কলেজ প্রদর্শকদের পদোন্নতির খসড়া প্রকাশ সুইডেনে স্কলারশিপে স্নাতকোত্তরের সুযোগ - dainik shiksha সুইডেনে স্কলারশিপে স্নাতকোত্তরের সুযোগ পঞ্চমে ফিরছে বৃত্তি পরীক্ষা, বার্ষিকে ৪ স্তরে মূল্যায়ন - dainik shiksha পঞ্চমে ফিরছে বৃত্তি পরীক্ষা, বার্ষিকে ৪ স্তরে মূল্যায়ন দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0056920051574707