মেডিক্যাল ভর্তিচ্ছুদের প্রস্তুতিমূলক দিকনির্দেশনা

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

প্রতিবছর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন লক্ষাধিক শিক্ষার্থী। কিন্তু ভর্তির সুযোগ পান মাত্র কয়েক হাজার। সাদা অ্যাপ্রোণ আর স্টেথোস্কোপের স্বপ্ন যারা দেখেন, যারা নিজের জীবন উৎসর্গ করতে চান মানবসেবায়, তাদের জন্য দিকনির্দেশনামূলক কিছু কথা-

পরীক্ষার প্রস্তুতি : ১. মূল বইয়ের কোনো বিকল্প নেই। মূল বইটি ভালোভাবে শেষ করতে হবে এবং বারবার রিভিশন করতে হবে। খুব ভালো করে আত্মস্থ করতে হবে বায়োলজির প্রতিটি বই। রসায়ন প্রশ্নের উত্তর দিতে একটু কৌশলী হতে হবে। ধ্রুবকের মানগুলো খুব ভালো করে মুখস্থ করতে হবে। বড় ম্যাথ খুব একটা আসে না। ছোট ছোট ম্যাথ যেগুলো ১ মিনিটেই করা যায়, সেসব ম্যাথ প্র্যাকটিস করতে হবে।

কিছু অঙ্ক মূল বই থেকে হুবহু তুলে দেওয়া হয়। পদার্থবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে মান ও জ্ঞানমূলক তথ্যগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেই সঙ্গে ছোট ম্যাথ করতে হবে। প্রতি চাপ্টারের শেষে যে তথ্যকণিকা দেওয়া থাকে, সেগুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ। মূল বইয়ের অবজেক্টিভ প্রশ্নগুলোর সমাধান করতে হবে অবশ্যই। ২. সাধারণজ্ঞানের ক্ষেত্রে বিসিএস, আগের বছরের মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষাসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নগুলোর সমাধান করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধ অংশটুকুতে বেশি জোর দিতে হবে। ৩. ইংরেজির ১৫ মার্কের মধ্যে ২-৩ মার্ক প্রতিবারই একটু কঠিন হয়। কিন্তু যা প্রিপারেশন থেকে আসবে, তা কিন্তু ভুল করা যাবে না। সাধারণ জ্ঞানের মতো এখানেও পূর্ববর্তী বিসিএসসহ মেডিক্যাল -বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নের সমাধান করতে হবে। ৪. মনে রাখতে হবে, প্রশ্নপত্রে উত্তর চোখের সামনেই থাকবে। শুধু খুঁজে বের করতে হবে সঠিক উত্তরটি। অনেক সময় প্রশ্ন দেখতে সহজ মনে হয়, কিন্তু উত্তর খুঁজতে গিয়ে অনেকে বিভ্রান্ত হয়ে যান। তাই খুব ভালোভাবে পড়তে হবে।

পরীক্ষার ঠিক আগমুহূর্তে এবং পরীক্ষার দিন : ১. এক ঘণ্টার পরীক্ষায় ১০০টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। তাই টাইম ম্যানেজমেন্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে অনেকের অনেক ধরনের স্টাইল থাকে। যেমন: কেউ প্রথমে ১ থেকে ১০০ পর্যন্ত যতগুলোর উত্তর নিশ্চিত, সেগুলো একবারে দাগিয়ে ফেলেন। এরপর বাকি সময়ে ম্যাথ/চিন্তা করতে হয়-এমন প্রশ্নগুলোর উত্তর দেন।

২. খুব সাধারণ একটা ভুল অনেকেই করে থাকেন এবং আমিও করেছিলাম-উত্তরপত্র দাগানোর সময় একটার বৃত্ত অন্যটায় ভরাট করে ফেলা। এক্ষেত্রে চেষ্টা করতে হবে এ ভুলটি না করতে। একটি ভুল করলে সেই সিরিয়ালে একের পর এক ভুল হতেই থাকে। এদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। যদি ভুল হয়েও যায়, তাহলে ব্যাপারটা মাথা থেকে একদম ঝেড়ে ফেলে পরবর্তী উত্তর ঠিকমতো দিতে হবে। মনে রাখতে হবে, একটি ভুলের প্রভাব যেন পুরো পরীক্ষায় না পড়ে।

সবশেষে সবার জন্য রইল শুভ কামনা।

লেখক: সায়মা আহমেদ স্বর্ণা, মেডিক্যাল শিক্ষার্থী


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন যেভাবে - dainik shiksha এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন যেভাবে পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তি : শিক্ষক নিয়োগে আবেদন ২৩ হাজারের বেশি - dainik shiksha পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তি : শিক্ষক নিয়োগে আবেদন ২৩ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী মূল্যায়ন: ৬৫ শতাংশ লিখিত, ৩৫ কার্যক্রমভিত্তিক - dainik shiksha শিক্ষার্থী মূল্যায়ন: ৬৫ শতাংশ লিখিত, ৩৫ কার্যক্রমভিত্তিক একাদশে ভর্তি আবেদন ২৬ মে থেকে ১১ জুন - dainik shiksha একাদশে ভর্তি আবেদন ২৬ মে থেকে ১১ জুন ইবতেদায়ি মাদরাসার হালনাগাদ তথ্য চেয়েছে অধিদপ্তর - dainik shiksha ইবতেদায়ি মাদরাসার হালনাগাদ তথ্য চেয়েছে অধিদপ্তর ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির ষান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়নের সূচি - dainik shiksha ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির ষান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়নের সূচি কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন শুরু ২৬ মে - dainik shiksha একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন শুরু ২৬ মে শিক্ষা ক্যাডারের নির্বাচনী হাটে এমপিও শিক্ষকের কপাল ফাটে - dainik shiksha শিক্ষা ক্যাডারের নির্বাচনী হাটে এমপিও শিক্ষকের কপাল ফাটে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0023481845855713