মেধাবী পড়ুয়াদের উপাচার্য করার ভাবনার কথা জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল তথা রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আচার্য সিভি আনন্দ বোস। গত বৃহষ্পতিবার কালিম্পংয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের এক অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল বলেন, দেশে প্রথমবার পড়ুয়া উপাচার্য করা হবে। উজ্জ্বল ও সেরা পড়ুয়াকে উপাচার্য করা হবে। তিনি হয়তো এখন গবেষণা করছেন। তবে অতি দ্রুত উপাচার্য হবেন। যা ভারতে প্রথম। সারা বিশ্বেও প্রথম হবে।
রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উপাচার্য নিয়োগের ক্ষমতা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও রাজ্যপালের মধ্যে টানাপোড়েন চলছে। তবে সম্প্রতি আদালত জানিয়েছে, রাজ্যপালই উপাচার্য নিয়োগ করার অধিকারী।
রাজ্য সরকারের সঙ্গে টানাপোড়েনের আবহে রাজ্যপালের বক্তব্যে নতুন বিতর্ক শুরু হয়েছে। তবে শিক্ষাঙ্গনে দুর্নীতির প্রেক্ষাপটে রাজ্যপাল বলেছেন, দুর্নীতিমুক্ত শিক্ষাঙ্গন গড়ে তোলাই এখন অগ্রাধিকার। আর তার জন্য যোগ্য ছাত্রদের বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে নিয়োগ করতে কোনো বাধা নেই। তার মতে, দুর্নীতিমুক্ত শিক্ষাঙ্গন তৈরি এবং হিংসামুক্ত সমাজ গড়ে তুলতে তরুণ প্রজন্মকে দায়িত্ব নিতে হবে। রাজ্যপালের বক্তব্যকে সমর্থন করেন উপস্থিত বহু ছাত্রছাত্রী।
তবে এই বিতর্কের আবহে শিক্ষামহলের একাংশ মনে করছেন, পড়ুয়াদের উৎসাহ দিতেই রাজ্যপাল সম্ভবত একথা বলেছেন। ভালো করে পড়াশোনা করলে আগামী দিনে উপাচার্যের চেয়ার পড়ুয়াদের জন্যও সংরক্ষিত থাকবে এই বার্তা দিতেই আলঙ্কারিক অর্থে ‘স্টুডেন্ট ভিসি’ নিয়োগের কথা বলেছেন তিনি।
আবার একাংশ বলেছেন, রাজ্যপাল উপাচার্য নিয়োগ করলে সেক্ষেত্রে ইউজিসির যোগ্যতামানকে মান্যতা না দিলেও চলবে।