দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক : শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী কাছে এলে তিনি না করে দিয়েছেন। এর আগে বোর্ড থেকে ফাইল মন্ত্রণালয় এমনকি মাদরাসা ও কারিগরি বিভাগ হয়ে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়। কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের ছাপাখানার জন্য একটি মেশিন দেখতে বোর্ডের ৫ কর্মকর্তা যেতে চেয়েছিলেন জাপানে।
জানা যায়, জাপান সফরের তালিকায় ছিলেন, কারিগরি বোর্ডের চেয়ারম্যান আলী আকবর খান, বোর্ডের সচিব মিজানুর রহমান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কেপায়েত উল্লাহ, প্রকৌশলী আবু সিদ্দিক এবং কারিগরি বোর্ডের উপসচিব আবুল হোসেন।
জানা গেছে, সম্প্রতি আট কোটি টাকা দিয়ে একটি ছাপা মেশিন কেনার উদ্যোগ নিয়েছে কারিগরি বোর্ড। এ সংক্রান্ত দরপত্রও চূড়ান্ত করার পর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কার্যদেশ দেওয়া হয়েছে। জাপানের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এই মেশিনটি আমদানি করছে। যেকোনো সময় মেশিনটি বাংলাদেশে চলে আসবে। শেষ মুহূর্তে এই মেশিন দেখতে যাওয়ার জন্য ৫ জন কর্মকর্তার জাপান ভ্রমণকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কমকর্তারা অপ্রযোজনীয় মনে করছেন।
জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল দৈনিক আমাদের বার্তাকে জানান, কৃচ্ছসাধনের জন্য বিদেশ সফরের বিষয়ে সরকারের বিধি নিষেধ আছে।
পরীক্ষার খাতাসহ বিভিন্ন কাগজপত্র ছাপানোর জন্য বোর্ডের নিজস্ব একটি ছাপাখানা আছে। সেই ছাপাখানার একটি মেশিন অকার্যকর হয়ে গেছে। এই জন্য ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন মেশিন কেনার সিদ্ধান্ত নেয় বোর্ড। মেশিনটি ওই ছাপাখানায় স্থাপন করা হবে।
কারিগরি বোর্ডের চেয়ারম্যান আলী আকবর খান বলেন, ‘এই সফরের জন্য সরকারের ফান্ড থেকে কোন টাকা খরচ হত না। এখানে যে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজ পেয়েছে তারা মেশিন কেনার আগে দেখাতে নিয়ে যেতে চেয়েছিল। তাই যাওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।’
মেশিন দেখতে এতো কর্মকর্তার এক সাথে যেতে হবে কেন– এই প্রশ্নের জবাবে চেয়ারম্যান বলেন, ‘সব নিয়ম মেনেই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।’