মে দিবসে নিশ্চিত হোক শ্রমিকের অধিকার

ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন |

আজ সোমবার মে দিবস। বিশ্বের কোটি কোটি শ্রমজীবি মানুষের অধিকার ও দাবি আদায়ের এক মহান দিন। এবারের প্রতিপাদ্য ‘শ্রমিক-মালিক ঐক্য গড়ি, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলি’। প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে প্রতি বছর পয়লা মে তারিখে বিশ্বব্যাপী দিবসটি উদযাপিত হয়। এটি আন্তর্জাতিক শ্রমিক আন্দোলনের সফলতার সুতিকাগার। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে শ্রমজীবী মানুষ এবং শ্রমিক সংগঠনসমূহ রাজপথে সংগঠিতভাবে মিছিল ও শোভাযাত্রার মাধ্যমে দিবসটি পালন করে থাকে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রায় ৮০টি দেশে পয়লা মে জাতীয় ছুটির দিন। স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে ১৯৭২ সালে ১ মে’কে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ‘মে দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি দেন। একইসঙ্গে সরকারি ছুটিও ঘোষণা করেন।

আরো অনেক দেশে এটি বেসরকারিভাবে পালিত হয়। ১৮৮৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের হে মার্কেটের শ্রমিকরা উপযুক্ত মজুরি আর দৈনিক আট ঘন্টা কাজের দাবিতে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন। কল-কারখানা তখন গিলে খাচ্ছিল শ্রমিকের গোটা জীবন। অসহনীয় পরিবেশে প্রতিদিন ১৬ ঘন্টা কাজ করতে হতো। সপ্তাহজুড়ে কাজ করতে হতো।  শ্রমজীবি শিশুরা হয়ে পড়েছিল কঙ্কালসার। তখন দাবি উঠেছিল, কল-কারখানায় শ্রমিকের গোটা জীবন কিনে নেয়া যাবে না। ৮ ঘন্টা শ্রম দিনের দাবিতে শুরু হওয়া আন্দোলনের সময় ওই বছরের ১ মে শ্রমিকরা ধর্মঘট আহবান করে, প্রায় তিন লাখ মেহনতি মানুষ ওই সমাবেশে অংশ নেন।  আন্দোলনরত ক্ষুদ্ধ শ্রমিকদের রুখতে গিয়ে একসময় পুলিশ বাহিনী শ্রমিকদের মিছিলে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এতে পুলিশের গুলিতে ১১ জন নিরস্ত্র শ্রমিক নিহত হন, আহত ও গ্রেফতার হন আরো অনেক শ্রমিক। পরবর্তীতে প্রহসনমূলক বিচারের মাধ্যমে গ্রেফতারকৃত শ্রমিকদের মধ্য থেকে ছয়জনকে আন্দোলনে অংশ নেয়ার অপরাধে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়।  কারাগারে বন্দিদশায় এক শ্রমিক নেতা আহত হন। এতে বিক্ষোভ আরো প্রকট আকারে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে আন্দোলনরত শ্রমিকদের দাবি মেনে নিতে বাধ্য হয় যুক্তরাষ্ট্র সরকার। ১৮৮৯ সালের ১৪ জুলাই ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক শ্রমিক সম্মেলনে ১ মে শ্রমিক দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। পরবর্তী বছর অর্থাৎ ১৮৯০ সাল থেকে ১ মে বিশ্বব্যাপী পালন হয়ে আসছে ‘মে দিবস’ বা ‘আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস’।

অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রামী চেতনা এখন শ্রমজীবিদের ভূষণ। ১৮৮৬ সালের রক্তঝরা সেই ১ মে এখন সবার কাছে অবিচার ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে জোর সংগ্রামের শপথ গ্রহণের দিন। সামনে এগিয়ে যাওয়ার মূলমন্ত্র। ১৮৮৬ থেকে ২০২৩। শ্রমের মর্যাদা, মূল্য ও ন্যায্য মজুরি শুধু নয়, যুক্তিসঙ্গত কর্ম সময় নির্ধারণের আন্দোলনের ১৩৭তম বছর। গত ১৩৭ বছরে অনেক পরিবর্তন হয়েছে মানুষের সমাজ ও সভ্যতার। কিন্তু, এই প্রশ্নের উত্তর আজো খুঁজতে হয়, এতো উন্নতি-অগ্রগতি সাধিত হলেও শ্রমিকের অধিকার এখনো সুপ্রতিষ্ঠিত নয়। 

তবে মে দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি সারা বিশ্বের শ্রমিক শ্রেণির মাঝে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে। মালিক-শ্রমিক সম্পর্কের ওপর এ দিবসের প্রভাব সূদূর প্রসারী। এর প্রভাবে শ্রমিকদের দৈনিক কাজের সময় ১৬ ঘন্টা থেকে নেমে আসে ৮ ঘন্টায়। বিশ্বের সব দেশের শ্রমিকরা এর মাধ্যমে তাদের শ্রমের উপযুক্ত মর্যাদা পেতে শুরু করে। নিজেদের অধিকার আদায়ে তারা এগিয়ে যায় সামনে। মেহনতি মানুষ মুক্তি পেতে শুরু করে তাদের শৃঙ্খলিত জীবন থেকে। বিশ্বের ইতিহাসে সংযোজিত হয় সামাজিক পরিবর্তনের আরেকটি নতুন অধ্যায়। 

মে দিবস হচ্ছে গোটা পৃথিবীর শ্রমজীবি সমাজের বৈপ্লবিক পরিবর্তন সুচনা করার দিন। শ্রেণি-বৈষম্যের বেঁড়াজালে যখন তাদের জীবন বন্দি ছিল তখন মে দিবসের প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে খুলে যায় তাদের শৃঙ্খল। এ ফলে আস্তে আস্তে লোপ পেতে থাকে সমাজের শ্রেণি-বৈষম্য। পুঁজিবাদের দূর্বল দিকগুলোকে পুঁজি করা অবৈধ অর্থলোভীদের আগ্রাসী দংশন থেকে রেহাই পেল কোটি কোটি শ্রমিক। বৈষম্য ও শোষণমুক্ত একটি সমাজ গোটা বিশ্বকে উপহার দিল এই মে দিবস। মালিকপক্ষের সাথে শ্রমিকের যে উঁচু-নিচু সম্পর্ক ছিল তা এক নতুন অধ্যায়ের জন্ম দিলো মে দিবসের স্বীকৃতির ফলেই। 

বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একটি নিম্ম মধ্য আয়ের দেশ। এই দেশে শ্রমজীবি মানুষের সংখ্যা অনেক। বর্তমানে মে দিবসের সম্মানার্থে বাংলাদেশেও  ১ মে সরকারী ছুটির দিন। এদিন শ্রমিকরা মহা উৎসাহ ও উদ্দীপনায় পালন করে মে দিবস। তারা তাদের পূর্বসূরীদের স্মরণে আয়োজন করে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের। শ্রমিক সংগঠনগুলো মে দিবসে আয়োজন করে নানা ধরনের সাংস্কৃতিক ও কল্যাণমুখী কর্মসূচির। বাংলাদেশের শ্রমিকরা এদিন আনন্দঘন পরিবেশে উদযাপন করে মহান মে দিবস।  

শ্রম শব্দের আভিধানিক অর্থ মেহনত, দৈহিক খাটুনী, শারীরিক পরিশ্রম। অর্থনীতির পরিভাষায়, ‘পারিশ্রমিকের বিনিময়ে উৎপাদনকার্যে নিয়োজিত মানুষের শারীরিক ও মানসিক সকল প্রকার কর্ম-প্রচেষ্টাই শ্রম। আর মানবতার কল্যাণ, নৈতিক উন্নয়ন, সৃষ্টির সেবা ও উৎপাদনে নিয়োজিত সকল কায়িক ও মানসিক শক্তিকে শ্রম বলে।’ বাহ্যত এ শ্রম উৎপাদন কার্যে ব্যবহৃত হোক কিংবা পারিশ্রমিক না থাকুক অথবা সে পারিশ্রমিক নগদ অর্থ হউক কিংবা অন্য কিছু এবং শ্রমের পার্থিব মূল্য না থাকলেও পারলৌকিক মূল্য থাকবে।

সাধারণত শ্রমকে তিন শ্রেণিতে বিভক্ত করা যায়। যথা: ১. শারীরিক শ্রম হলো পুঁজিবিহীন জীবিকা অর্জনের জন্য দৈহিক পরিশ্রম। ২. শৈল্পিক শ্রম বলতে যে কাজে শিল্প ও কৌশলবিদ্যাকে অধিক পরিমাণে খাটানো হয়। ৩. বুদ্ধিবৃত্তিক শ্রম বলতে ঐ সকল পুঁজিহীন শ্রমকে বুঝায়, যেগুলোতে দেহের চেয়ে মস্তিস্ককে বেশি খাটানো হয়। 

শ্রমিকের ইংরেজি প্রতিশব্দ লেবার  আর আরবিতে বলা হয় আমেল। সাধারণ অর্থে যারা পরিশ্রম করে তাদেরকেই শ্রমিক বলা হয়। প্রচলিত অর্থে সমাজে বা রাষ্ট্রে যারা অন্যের অধীনে অর্থের বিনিময়ে পরিশ্রম করে তাদেরকে শ্রমিক বলা হয়। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন প্রত্যেক মানুষকে তার গোলামি করার জন্য সৃষ্টি করেছেন। আর আল্লাহর বিধান মতো কাজ করার নামই আমল। একজন প্রেসিডেন্টও শ্রম দিয়ে থাকেন, আবার একজন দিনমজুরও শ্রম দিয়ে থাকেন, এ অর্থে সবাই শ্রমিক। সাধারণত দৃষ্টিতে শ্রমিক বলতে কারখানায় কায়িক শ্রমে নিয়োজিত কেউ, রিকশা চালক, কুলি-মজুর সহ হাজারো পেশায় নিয়োজিত কোটি কোটি শ্রমিক যারা মূলত কায়িক শ্রমে নিয়োজিত। কিন্তু শ্রম আইনে সবাই শ্রমিক কিনা কিংবা শ্রম আইনের আওতায় সবাই পড়েন কিনা সেটি বিবেচনার দাবি রাখে। 

বাংলাদেশের শ্রম আইনের ২(৬৫) ধারায় বলা হয়েছে “শ্রমিক” অর্থ শিক্ষাধীনসহ কোন ব্যক্তি, তাহার চাকুরীর শর্তাবলী প্রকাশ্য বা উহ্য যে ভাবেই থাকুক না কেন, যিনি কোন প্রতিষ্ঠানে বা শিল্পে সরাসরিভাবে বা কোন ঠিকাদার-এর (যে নামেই অভিহিত হউক না কেন) মাধ্যমে মজুরি বা অর্থের বিনিময়ে কোন দক্ষ, অদক্ষ, কায়িক, কারিগরী, ব্যবসা উন্নয়নমূলক অথবা কেরানীগিরির কাজ করার জন্য নিযুক্ত হন, কিন্তু প্রধানতঃ প্রশাসনিক (তদারকি কর্মকর্তা) বা ব্যবস্থাপনামূলক কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবেন না।

অর্থনীতির পরিভাষায়, যারা সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও শিল্প কারখানায় কর্মকর্তার অধীনে শ্রমিক-কর্মচারী হিসেবে কাজ করেন, তারাই শ্রমিক-শ্রমজীবী মানুষ। আর যারা শ্রমিকদের কাজে নিয়োগ করেন, তাদের নিকট থেকে যথাযথভাবে কাজ আদায় করেন এবং শ্রমের বিনিময়ে মজুরি বা বেতন-ভাতা প্রদান করেন, তারাই মালিক।

দিবসটি আসে আর যায়। একদিনের জন্য আমরা নড়ে চড়ে বসি। কিন্তু শ্রম ও শ্রমিকের অবস্থানে কোনো পরিবর্তন নেই। এদেশে রানা প্লাজা তারই একটি তাজা উদাহরণ। ভোলা সম্ভব নয়  রানা প্লাজার সেই চরম ট্রাজেডিকে। সাভারের রানা প্লাজার বহুতল ভবন ধ্বসে সেদিন মারা গিয়েছিলো শত শত শ্রমিক। পঙ্গু ও নিখোঁজ ছিল অসংখ্য জন। যা দগদগে ঘার মতো আমাদের সকলের মনে আজও বিরাজমান। এদেশের শ্রমিকদের জীবনের নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানের অর্থলিপ্সু মালিকেরা কখনো দেননি। এত প্রতিবাদ, প্রতিরোধ, আন্দোলন, সংগ্রামের পর এখনও সেই চিত্র সন্তোষজনকভাবে বদলায়নি। চরম ঝুঁকির মধ্যে বাধ্যতামূলকভাবে কাজ করার হীন প্রবণতা এখনও বিরাজমান। 

প্রাপ্ত্য তথ্যানুসারে দেশে মোট জনশক্তি প্রায় ১৭ কোটি। আর বিভিন্ন খাতে শ্রমিক নয় কোটি ৬২ লাখ। এর মধ্যে পুরুষ সাত কোটি ১২ লাখ এবং নারী দুই কোটি ৫০ লাখ। বিবিএসের জরিপ অনুসারে পেশার দিক থেকে কর্মক্ষেত্রে কৃষক, মৎস্যজীবীর সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যানুসারে দেশে দুই কোটি ৭৪ লাখ কৃষক ও মৎস্যজীবী এই পেশায় নিয়োজিত। এরপরই রয়েছে উৎপাদন ও পরিবহণ শ্রমিক। এই খাতের শ্রমিকের সংখ্যা এক কোটি ৩০ লাখ। আর সরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন এক কোটি ৩৭ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী। তবে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে এই সংখ্যা আট লাখ ৮৭ হাজার। এ ছাড়া স্থানীয় সরকার পর্যায়ে কাজ করেন তিন লাখ ৬৮ হাজার লোক। ৩২ লাখ ৮৪ হাজার লোক নিয়োজিত আছেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোয়। আর বিভিন্ন এনজিওতে কাজ করছেন ছয় লাখ ৮৮ হাজার লোক। গেরস্থালিতে কাজ করেন এক কোটি ১৮ লাখ নারী-পুরুষ। আর কর্মে নিয়োজিত শ্রমশক্তির ৯০ শতাংশ তাঁর পেশায় সন্তুষ্ট নন। এই শ্রমিক অসন্তুষ্টির প্রভাব শুধু প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন ক্ষমতা বা সেবার মানের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে এমন নয়, এর ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব প্রতিফলিত হয় সমাজ, রাজনৈতিক, পারিবারিক ও ব্যক্তি জীবনে। 

আমাদের দেশে একজন কর্মজীবীর কর্মক্ষেত্রে অসন্তুষ্টির বহুবিধ যৌক্তিক কারণ থাকতে পারে। তবে মোটাদাগের কারণগুলো যদি বলি তাহলো-যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ না পাওয়া, পরিশ্রম অনুযায়ী মজুরি না পাওয়া, নির্ধারিত সময়ে মজুরি না পাওয়া, প্রাপ্ত মজুরি দিয়ে প্রাত্যহিক ব্যয় নির্বাহ করতে না পারা, জবরদস্তি করে অতিরিক্ত পরিশ্রম করানো, ছুটি না পাওয়া, নিরাপদ কর্মপরিবেশ না পাওয়া, মর্যাদা না পাওয়া, প্রয়োজনীয় বিশ্রাম এবং বিনোদনের অভাব সর্বোপরি চাকরির কোনো নিশ্চয়তা না থাকা। 

মে দিবসের সবচেয়ে জরুরি বিষয়টি হলো, শ্রমের মর্যাদা নিশ্চিত করা। শ্রমিক শ্রেণি সামাজিকভাবে মর্যাদা অর্জন করতে পারেনি এখনও। সমাজের অন্যান্য পেশার মানুষের মতো শ্রমিকদের একটি মর্যাদাসম্পন্ন শ্রেণি হিসেবেই প্রতিষ্ঠা করাই হবে আমাদের দায়িত্ব এবং কর্তব্য। করতে পারলেই সভ্যতার দাবিদার হিসেবে পৃথিবী নান্দনিক হয়ে উঠবে বলেই আমাদের বিশ্বাস।  জয় হোক সাম্যের, জয় হোক মেহনতি মানুষের। 

লেখক :  ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন, হোমিও ডাক্তার ও কলামিস্ট 

 


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
অবশেষে বাজারে আসছে একাদশ শ্রেণির পাঁচ আবশ্যিক বই - dainik shiksha অবশেষে বাজারে আসছে একাদশ শ্রেণির পাঁচ আবশ্যিক বই অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে রেলগেট অবরোধ তিতুমীর কলেজ শিক্ষার্থীদের - dainik shiksha অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে রেলগেট অবরোধ তিতুমীর কলেজ শিক্ষার্থীদের আওয়ামী আমলে শত কোটি টাকা লুট শিক্ষা প্রকৌশলের চট্টগ্রাম দপ্তরে - dainik shiksha আওয়ামী আমলে শত কোটি টাকা লুট শিক্ষা প্রকৌশলের চট্টগ্রাম দপ্তরে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটির তালিকা - dainik shiksha শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটির তালিকা ছাত্ররা রাজনৈতিক দল ঘোষণা করবে কি না জনগণ নির্ধারণ করবে - dainik shiksha ছাত্ররা রাজনৈতিক দল ঘোষণা করবে কি না জনগণ নির্ধারণ করবে কুয়েটে ভর্তি আবেদন শুরু ৪ ডিসেম্বর, পরীক্ষা ১১ জানুয়ারি - dainik shiksha কুয়েটে ভর্তি আবেদন শুরু ৪ ডিসেম্বর, পরীক্ষা ১১ জানুয়ারি please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0024361610412598