ছাত্র আন্দোলনের প্রতি প্রধানমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতাদের সহানুভূতি না থাকা নিয়ে তীব্র আক্রমণ করলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহ। তিনি বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি কখনো ছাত্র ছিলেন না। তাই তার সহানুভূতিও নেই।
একটি সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাত্কার দিতে গিয়ে নাসিরুদ্দিন বলেছেন, ছাত্রসমাজ চিন্তা করে বলেই আজ আন্দোলনের রাস্তায়। কারণ তাদের ভবিষ্যত্ কী হবে এই ভেবেই তারা উদ্বিগ্ন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর কোনো সহানুভূতিই নেই। কারণ তিনি কখনো ছাত্রই ছিলেন না।
নাসিরুদ্দিন ভাষায়, নরেন্দ্র মোদির রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ডিগ্রি সামনে আসার আগে তিনি নিজমুখে একাধিকবার বলেছেন, তিনি পড়াশোনা করেননি। এখানেই থামেননি নাসির। তিনি আরো বলেন, বিদ্যাচর্চাটা একটা নিরন্তর প্রক্রিয়া। এটার মধ্যে যারা কখনো পথ হাঁটেননি তাদের তো বিদ্বেষ থাকবেই।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন, এনআরসি ও এনপিআরের বিরুদ্ধে যেভাবে দেশে আন্দোলন হচ্ছে তার একটা বড় অংশে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ছাত্ররা। জামিয়া মিলিয়া থেকে আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতার যাদবপুর-প্রেসিডেন্সি থেকে মুম্বাই আইআইটি; একাধিক শিক্ষাকেন্দ্র এই আন্দোলনের সামনের সারিতে চলে এসেছে। সেই আন্দোলনের প্রতি যে তার সমর্থন রয়েছে তাও জানাতে ভুলেননি নাসিরুদ্দিন।
এনআরসি তালিকায় প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ফকরুদ্দিন আলি আহমেদের পরিবারের নাম না থাকার প্রসঙ্গ তুলে এই অভিনেতা বলেছেন, এটা থেকেই বোঝা যাচ্ছে এই প্রক্রিয়া কতটা স্বচ্ছ, ত্রুটিহীন আর কী এর উদ্দেশ্য। দেশকে পিছন দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলপ্রয়োগ করছে সরকার।
ওই সাক্ষাত্কারে নাসির বলেছেন, আমি কখনো নিজেকে মুসলিম ভাবিনি। সাধারণ নাগরিক হিসেবেই নিজের মূল্যবোধ গড়ে তুলেছি। চর্চা করেছি। এতদিন এই দেশে কাজ করার পর কেউ যদি প্রশ্ন তোলেন যে আমি ভারতীয় কিনা, তাহলে ক্রুদ্ধ হওয়াটা স্বাভাবিক।
সূত্র: দ্য ওয়াল।