নবগঠিত ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ড প্রথমবার জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেছে। এ বোর্ডে পাসের হার শতকরা ৮৭ দশমিক ২১ শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছে তিন হাজার ৯০৩ জন পরীক্ষার্থী। বোর্ডের চার জেলার মধ্যে ফলাফলে এগিয়ে রয়েছে শেরপুর।
ফলাফলের সংক্ষিপ্ত পরিসংখ্যান সূত্রে জানা যায়, ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মোট এক লাখ ৬৫ হাজার ৩৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে এক লাখ ৬১ হাজার ৩৫৯ জন পরীক্ষার্থী। বহিষ্কার, অনুপস্থিত পরীক্ষার্থীসহ অকৃতকার্য হয়েছে তিন হাজার ৬৭৪ জন।
জিপিএ ৫ প্রাপ্ত তিন হাজার ৯০৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে এগিয়ে আছে মেয়েরা। দুই হাজার ২৯৯ জন মেয়ে জিপিএ ৫ পেয়েছে। আর ছেলেদের মধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছে এক হাজার ৬০৪ জন।
ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডে ১৭৩টি প্রতিষ্ঠান থেকে শতভাগ পরীক্ষার্থী পাস করেছে। একটি বিদ্যালয় থেকে কোনো পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়নি। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির নাম প্র আ ম ইন্টারন্যাশনাল স্কুল। প্রতিষ্ঠানটি থেকে তিনজন পরীক্ষা দিয়েছিল।
সার্বিক ফলাফলে ময়মনসিংহ বিভাগের শেরপুর জেলা ৯০ দশমিক ০৫ শতাংশ পেয়ে প্রথম স্থানে রয়েছে। জামালপুর ৮৯ দশমিক ৫২ শতাংশ পেয়ে দ্বিতীয়, ময়মনসিংহ ৮৫ দশমিক ৮৪ শতাংশ পেয়ে তৃতীয় ও নেত্রকোনা ৮৫ দশমিক ৭১ শতাংশ পেয়ে চতুর্থ হয়েছে।
গতকাল সংবাদ সম্মেলনে ফলাফলের সংক্ষিপ্ত পরিসংখ্যান পড়ে শোনান ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ শামসুল ইসলাম। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা বোর্ডের সচিব কিরীটি কুমার দত্ত, কলেজ পরিদর্শক শেখ হাবিবুর রহমান, আইন কর্মকর্তা মশিউল আলম, উপসচিব মনিরুজ্জামান, উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোহসিনা বেগম, সহকারী প্রগ্রামার নিয়ামুল কবীর প্রমুখ।
ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. গাজী হাসান কামাল ফলাফলের কপি ঢাকায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন।
ফলাফল ঘোষণা শেষে সচিব কিরীটি কুমার দত্ত বলেন, ‘প্রতিষ্ঠার পর মাত্র দেড় বছরের মাথায় এ শিক্ষা বোর্ড সবার সহযোগিতা নিয়ে ফলাফল ঘোষণা করতে পেরেছে। বর্তমানে এই বোর্ডে মাত্র ২৭ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মরত আছেন। আর কারিগরি ক্ষেত্রে আমাদের যশোর শিক্ষা বোর্ডের সহায়তা নিতে হয়েছে।’