যথার্থ শিক্ষক নির্ধারণ হলে শিক্ষার মানোন্নয়ন ঘটবে

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

আসলে এটা তো চিরকালীন সত্য যে, শিক্ষাক্রম বা পাঠ্যপুস্তক অথবা গাইডবই যেটিই হোক, তারা কেউ তো  শিক্ষার্থীকে ভালো মানের বা নিম্নমানের লেখাপড়া শেখায় না! শেখায় শিক্ষক। অনেকক্ষেত্রে শিক্ষিত বাবা-মাও শিক্ষকের স্থান গ্রহণ করে। শিক্ষাক্রম-পাঠ্যপুস্তকের মধ্যে ভালোমন্দ থাকতে পারে, কিন্তু মোটাদাগে বলা যায়Ñ সব শিক্ষাক্রম এবং পাঠ্যবইয়ে শিক্ষার্থীদের সাক্ষরতা অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় ভাষা দক্ষতা ও গণিতের দক্ষতা, একই সঙ্গে স্বাস্থ্য-পরিবেশ-ভূগোল-ইতিহাসের জ্ঞান-দক্ষতা প্রদান করার ব্যবস্থা থাকে। এসব কাগজে লেখা জ্ঞান-দক্ষতা স্কুলের শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে দেন শিক্ষক। বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) জনকণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে তথ্য জানা যায়। 

নিবন্ধে আরও জানা যায় সুতরাং আজ আমরা যারা শিক্ষিত হয়েছি, তারা সবাই শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকের কাছ থেকে অনেকটা শিখেছি। গৃহশিক্ষকের কাছে অবশ্যই আরও বেশি শিখেছি। বাবা-মার কাছ থেকেও শেখার প্রথম পাঠ নিয়েছি। এর বাইরে ভাষা শেখার প্রাথমিক পর্ব শেষ হতে হতে যুক্ত হতে থাকে, বলা হয়- ‘আউট বই’। অর্থাৎ পাঠ্যপুস্তকের বাইরের বইÑ রূপকথা, অ্যাডভেঞ্চার, গোয়েন্দা কাহিনী, পথের পাঁচালীর মতো বই, শরৎচন্দ্রের রামের সুমতি-বিন্দুর ছেলে অথবা রবীন্দ্রনাথের ছোটগল্প, জসীমউদ্দীন-নজরুলের কবিতা, বিজ্ঞানের বই, প্রবন্ধের বইÑ এসব বই তো আমাদের ছোটবেলায়ই বুঝিয়ে দিয়েছিল যে, কত বিশাল আনন্দের, বিস্ময়ের-উপভোগের জগৎ রয়েছে পাঠ্যবইয়ের বাইরে। সেসব বই আমাদের শিখিয়েছে কত রকমের জ্ঞান, দক্ষতা, দৃষ্টিভঙ্গি।

এসব বই আমার শিক্ষকসম! শুধু আমি নই, সবার জন্যই এ কথা প্রযোজ্য। বিশ্বাস করি, আমাদের বিশাল জনসংখ্যার দেশে চল্লিশ-পঞ্চাশ  শিক্ষার্থীর শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থী একজন শিক্ষকের কাছ থেকে নির্ধারিত যোগ্যতা-দক্ষতার সবটুকু আয়ত্ত করতে পারে না। নিজেকে দিয়েই এ বিশ^াস করি যে, শুধু শ্রেণিকক্ষে একজন শিক্ষকের পক্ষে আমার মতো মাঝারি মেধাসম্পন্ন শিক্ষার্থীকে নির্ধারিত প্রত্যেক বিষয় না হোক, ন্যূনতম বাংলা, ইংরেজি এবং গণিতের দক্ষতাগুলো শিখিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। এখন সর্বজনীন সাক্ষরতা ও শিক্ষা কার্যক্রমের  অধীন সব স্কুলবয়সী শিক্ষার্থীদের সাক্ষর এবং প্রাথমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষায় শিক্ষিত করা বিশে^র সব দেশের সব সরকারের শিক্ষার লক্ষ্য হিসেবে নির্ধারিত হয়েছে।

সে প্রেক্ষিতে আমাদের সময়ের সীমিত হলেও কমপক্ষে চল্লিশজনের সেই শ্রেণি এখন পঞ্চাশ-ষাট শিক্ষার্থীর শ্রেণিতে শিক্ষাদানের কাজটি যথেষ্ট সমস্যাপূর্ণ এবং শিক্ষকের জন্য চ্যালেঞ্জিং। আমাদের শিক্ষার প্রধান মাথাব্যথা তো প্রত্যেক শ্রেণির কমপক্ষে পঞ্চাশ ভাগ নিরক্ষর বা অল্পশিক্ষিত শ্রমজীবী-কৃষক-শ্রমিক বাবা-মায়ের সন্তান। প্রথমত, তাদের বাড়িতে নেই কোনো পড়াশোনার পরিবেশ। দ্বিতীয়ত, তারা শ্রেণির কঠিন লেখাপড়ায় নিরক্ষর ও স্বল্পশিক্ষিত বাবা-মায়ের কোনো সাহায্য লাভ করে না। পাশেই আছে তাদেরই শিক্ষকদের ছেলেমেয়েরা এবং এলাকার শিক্ষিত, উচ্চশিক্ষিত বাবা-মায়ের ছেলেমেয়েরা, যারা সচেতন ও শিক্ষিত বাবা-মায়ের সন্তান।

যে বাবা-মায়েরা শিক্ষার উচ্চমানের ফল সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা রাখে বলে ছেলেমেয়েদের ভালোমানের শিক্ষার ব্যবস্থা করতে যত রকমভাবে সম্ভব সহায়তাগুলো কেনার চেষ্টা করেন। প্রত্যেক শ্রেণিকক্ষে বিশেষত গ্রামে-মফস্বলে এভাবে একটি বৈষম্যের সৃষ্টি হয়। শুধু তাই নয়, শহরের, ঢাকার শ্রেণিকক্ষেও আরেক ধরনের বৈষম্য সৃষ্টি হয়, যেটি বিশে^র সব দেশের সব শ্রেণিকক্ষেই দেখা যায়। সেটি হচ্ছেÑ একটি মেধায় উজ্জ্বল দ্রুত এগিয়ে যাওয়া ছোট দল। পাশে একটি মাঝারি মানের মাঝারি সংখ্যার দল এবং থাকে লেখাপড়ায় পিছিয়ে থাকা ধীরগতিসম্পন্ন শিক্ষার্থীর ছোট একটি দল। বিশে^র সব দেশে সব শ্রেণিতে এই ‘স্লো-লার্নার’ বা ‘ধীরগতিসম্পন্ন’ শিক্ষার্থীর দেখা মেলে।

সেজন্যই শিক্ষাক্রম, জ্ঞান-দক্ষতা যেমনই হোক, প্রথম মেধাবী দলটি সেসব নিজেরাই শ্রেণি শিক্ষকের বা গৃহশিক্ষকের সাহায্যে আয়ত্ত করবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। দ্বিতীয় দল শ্রেণির বেশি সংখ্যক মাঝারি মানের শিক্ষার্থীরা শিক্ষাক্রমের অন্তর্ভুক্ত জ্ঞান-দক্ষতার পঞ্চাশভাগ আয়ত্ত করে শ্রেণি থেকে পাস নম্বর পেয়ে পাস করে যায়। তাদের নম্বরের মান ‘বি’, ‘সি’ হতে পারে বা ‘খ’, ‘গ’ হতে পারে। দেখা যায়, তাদের মধ্য থেকে অনেকেই পরবর্তী শিক্ষা পর্যায়ে খুব ভালো করতে সক্ষম হয় এবং উচ্চশিক্ষায় খুব উচ্চ ‘মান’ অর্জন করে। তাদের ‘লেট-ব্লুমার’ বলা হয়। অর্থাৎ তারা দেরিতে ফোটে কিন্তু ফুলের মতোই ফোটে এবং দেরিতে সৌরভ ছড়ায়।

হঠাৎ আকস্মিক কোনো কারণে শ্রেণির সবচাইতে মেধাবী দলটির কেউ কেউ লেখাপড়ায় আগের মান হারিয়ে ফেলে মাঝারি মানে পর্যবসিত হয়। এতে হয়ত খুব বেশি ক্ষতি হয় না তাদের। তারাও মাঝারি মানের আয়-উপার্জনের চাকরি বা কাজ পেতে পারে। ‘লেট ব্লুমার’দের নিয়ে এবং মাঝারি মানের শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষাদান প্রক্রিয়ায় কিছু অতিরিক্ত সাহায্যের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
মনে রাখতে হবে, শিক্ষাক্রম নিজেই শিক্ষার্থীদের শিক্ষা দিতে পারবে না। এটি পাঠদানের মাধ্যমে শিক্ষকই শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছে দেবে। মেধাবী শিক্ষার্থীরা কোচিং-টিউটরিংয়ের অল্প সহায়তায় ভালোভাবে এসব পাঠ্য বিষয়ের জ্ঞান-দক্ষতা শিখে নেবে। মাঝারি ও ধীরগতির শিক্ষার্থীদের জন্য প্রয়োজন হবে অতিরিক্ত পাঠ অনুশীলনের ব্যবস্থা, যা প্রতিকারমূলক শিক্ষা বা রিমেডিয়াল টিচিং নামে বিদেশে প্রচলিত। এসব শিক্ষার্থীর প্রয়োজন পাঠের পুনঃঅনুশীলনের জন্য বরাদ্দ সময় ও সহানুভূতিশীল কিছু দক্ষ শিক্ষক।

প্রাথমিক স্তরের প্রথম শ্রেণিগুলোতে ‘পড়া শেখার’ কঠিন প্রক্রিয়ার মধ্যে এসব শিক্ষার্থীর জন্য যেহেতু যথেষ্ট ‘অনুশীলন সময়’ প্রয়োজন, সেহেতু কোনো প্রান্তিক পরীক্ষা বা মেধা যাচাইয়ের  পুরনো বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। আগে বৃত্তির প্রয়োজন ছিল, যা এখন শিক্ষা উপবৃত্তি হিসেবে গ্রাম-মফস্বলের অসচ্ছল প্রায় সব ছেলেমেয়েই পেয়ে থাকে। এমন ব্যবস্থার মধ্যে আর কোনো পরীক্ষা, বৃত্তি পরীক্ষা বা অন্য কোনো নামে অনুশীলনের দরকার নেইÑ যা পড়ার ও  সময়ের অপচয় ঘটাবে। পরীক্ষা মানে যেহেতু ‘পড়া মুখস্থ’ করার রীতি প্রচলিত ছিল, সুতরাং ঐ মুখস্থ করা এবং অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থীর মূল্যবান সময় নষ্ট করার কোনো প্রয়োজন দেখি না। 
বর্তমানে আমাদের শিক্ষার মানোন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই। এই প্রেক্ষিতে উক্ত ‘প্রতিকারমূলক শিক্ষা’টাই সব স্কুলে নিয়মবদ্ধ ব্যবস্থা হিসেবে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের রুটিনে অন্তর্ভুক্ত করার প্রয়োজন রয়েছে। উপজেলা শিক্ষা কর্তৃপক্ষ, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্তৃপক্ষ, শিক্ষা কর্মকর্তা এবং স্কুল কর্তৃপক্ষ একযোগে মিলে আলাপ-আলোচনা করে, প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের স্কুলের প্রতিশ্রেণির রুটিনে একটি সময় ‘প্রতিকারমূলক শিক্ষা’র জন্য বরাদ্দ করে যথার্থ শিক্ষক নির্ধারণ করা হলে শিক্ষার মানোন্নয়ন ঘটবে- এতে সন্দেহ নেই।

একটু খেয়াল করলে দেখা যাবে, আমরা সবাই ছাত্রাবস্থায় কোনো না কোনো পন্থায় বাবা-মা, ভাইবোন, সহপাঠী বা গৃহশিক্ষক-টিউটরের সাহায্যে অনুশীলন করেছি। সেসব পাঠ যেগুলোতে আমরা দুর্বল ছিলাম বা খারাপ নম্বর পেয়েছি। আসলে, আমাদের প্রচলিত শিক্ষাক্রম বা পাঠ্যপুস্তক এমনকি ইংরেজি, বাংলা, গণিতের গাইডবই এমন কিছু খারাপ বা নি¤œমানের ছিল না। বর্তমানেও এগুলোর মান খারাপ নয়। আমাদের সমস্যা হলো, শিক্ষার্থীর বিপুল সংখ্যা। এই বিপুল সংখ্যক প্রাথমিক স্তরের শিশু শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাঙালি, নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর উপজাতি, নানা পেশাজীবী, শ্রেণি, বর্ণ, যেমন- চা শ্রমিক, হরিজন, হিজড়া, প্রতিবন্ধী- সবাইকে প্রাথমিক শিক্ষা প্রদান একটি বিশাল কর্মযজ্ঞ।

তার ওপর এটি যদি মানসম্মত শিক্ষা হতে হয়, তাহলে এটি বাংলাদেশের মতো ছোট একটি দেশের জন্য বিশাল বড় একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠবে। প্রতিশ্রেণির দুর্বল শিশুদের যদি অন্তত সপ্তাহে চারদিন এই প্রতিকারমূলক পাঠ বা পাঠের অনুশীলন করানো হয়, তাহলে তাদের অধিকাংশই মোটামুটি মাঝারি মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে কর্মজীবনে প্রবেশ করতে পারবে। প্রাথমিক স্তরের কয়েক কোটি শিশুকে পাঁচটি শ্রেণির অন্তত বাংলা, ইংরেজি, গণিতে অনুশীলন ক্লাস করিয়ে শিক্ষা শেষ দিতে পারি, তাহলেও আমরা একটি বিশাল সাফল্য অর্জন করতে পারব। প্রাথমিকের প্রস্তাবিত আটটি ক্লাসের পাঠ সবাইকে দিয়ে মানসম্মতভাবে সম্পন্ন করানো খুব কঠিন কাজ হবে বলে মনে করি।

পাশ্চাত্যে প্রাথমিকের শ্রেণিতে গ্রেড আছে, কিন্তু ফেল নেই। স্মরণ রাখতে হবে, ওদের এক একটি শ্রেণিতে আমাদের তুলনায় খুব কম শিশু বা শিক্ষার্থী আছে। কারণ, ওদের জনসংখ্যা অনেক আগে থেকেই হ্রাস পাচ্ছে। সুতরাং ছাত্রছাত্রীর সংখ্যাও হ্রাস পেয়েছে। তেমনি পাশ্চাত্যের দেশে প্রাথমিক স্কুল প্রতিবছরই বন্ধ হয়েছে! সেই ’৮৩-’৮৪তে যখন এডিনবরায় পড়ছিলাম, স্কুল পরিদর্শন করতে হতো। সেখানে সে সময়ই দেখেছি কত স্কুল বন্ধ হয়েছে!

আমাদের উন্নয়নশীল দেশ হতে হলে এই বিপুল সংখ্যক নানা নৃতাত্ত্বিক, অন্য পেশা, লিঙ্গ, বর্ণ, শ্রেণির শিক্ষার্থীর শিক্ষার মান কিভাবে নির্ণয় করা হবে, যা পাশ্চাত্যের শিক্ষার্থী সংখ্যার সঙ্গে কোনোভাবেই তুলনীয় নয়, সেটা নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে বলে মনে করি। এক কোটি বা ২ কোটি জনসংখ্যার দেশের উন্নয়নের সূচক কি সতেরো কোটি বা একশ’ কোটি মানুষের দেশের উন্নয়নের সূচক একই মাত্রার হবে? সিপিডি বা উন্নয়ন নিয়ে কাজ করা সংস্থাগুলো এ বিষয়ে কি বলে? যতই ভাবি-প্রাথমিকের কোটি কোটি শিশু, যার অর্ধেকই নিরক্ষর কিম্বা স্বল্প শিক্ষিতের সন্তান, তারা তো শিক্ষা অর্জনের জন্য সরকার ও সরকারি স্কুলের ওপর নির্ভরশীল। দরিদ্র বাবা-মা তাদের যত দ্রুত পারে সংসারের আয়-উন্নতির জন্য ব্যবহারে আগ্রহী। উপরন্তু সন্তানের শিক্ষায় সহায়তা করা তাদের দ্বারা সম্ভব নয়। পাশ্চাত্যে কি বাবা-মায়েরা শিশুদের এমন চাপ দেয়? উপরন্তু সেখানে শিশুরা স্কুলে না গেলে বাবা-মায়েদের জবাবদিহি করতে হয়!

তাছাড়াও কয়েক লাখ শিক্ষকের মধ্যে মানসম্মত শিক্ষায় শিক্ষিত শিক্ষক কত হবে, যারা মানসম্মত শিক্ষাদান করতে সক্ষম?  এ সমস্যা নিয়েও ভাবতে হবে। গার্মেন্টে বা কাপড়, জামা, কৃষির উৎপাদন ইত্যাদি যত সহজে বৃদ্ধি ও উন্নয়ন করা সম্ভব, শিক্ষার মানোন্নয়ন ঠিক ততটাই দুরূহ। ‘সংখ্যা’ আমাদের জন্য একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

শিক্ষাকে আসলে একটি ক্রস-কাটিং ইস্যু হিসেবে গণ্য করতে হবে। এ লক্ষ্যে সব ক্ষেত্রের  স্টেক হোল্ডার ও পলিসি মেকারদের একসঙ্গে বসে শিক্ষার সব স্তরের মানোন্নয়নে ভূমিকা রাখার জন্য আহ্বান করতে হবে। সব ক্ষেত্রের পেশাজীবী যেমন শিক্ষা গ্রহণ করে শিক্ষার বেনিফিসিয়ারি, তেমনি তারা সব শিক্ষার্থীর বাবা-মা হিসেবে শিক্ষার ভালোমন্দ সম্বন্ধে সচেতন অভিভাবক। শিক্ষার মানোন্নয়নে শিক্ষিত, কম শিক্ষিত, সব অভিভাবকের ভূমিকা, মতামত খুবই গুরুত্বপূর্ণ সন্দেহ নেই। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে অবশ্যই ভাবতে পারে এতে লাভ ছাড়া ক্ষতি হবে না।

লেখক : মমতাজ লতিফ, শিক্ষাবিদ


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
বিসিএসে আনুকূল্য পেতে যেচে তথ্য দিয়ে বাদ পড়ার শঙ্কায় - dainik shiksha বিসিএসে আনুকূল্য পেতে যেচে তথ্য দিয়ে বাদ পড়ার শঙ্কায় ৬ষ্ঠ ও ৮ম শ্রেণির বাদপড়া শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ - dainik shiksha ৬ষ্ঠ ও ৮ম শ্রেণির বাদপড়া শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ দেশে আদর্শ ও নীতিবান শিক্ষকের সংখ্যা কমে যাচ্ছে: উপাচার্য এ এস এম আমানুল্লাহ - dainik shiksha দেশে আদর্শ ও নীতিবান শিক্ষকের সংখ্যা কমে যাচ্ছে: উপাচার্য এ এস এম আমানুল্লাহ জাল সনদে চাকরি করছেন এক বিদ্যালয়ের সাত শিক্ষক - dainik shiksha জাল সনদে চাকরি করছেন এক বিদ্যালয়ের সাত শিক্ষক কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক ছাত্র আন্দোলনে নি*হত ৯ মরদেহ তোলার নির্দেশ - dainik shiksha ছাত্র আন্দোলনে নি*হত ৯ মরদেহ তোলার নির্দেশ এসএসসির ফরম পূরণ শুরু ১ ডিসেম্বর - dainik shiksha এসএসসির ফরম পূরণ শুরু ১ ডিসেম্বর please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0026140213012695