কপালের পাশে গুলি নিয়ে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেয়া মেধাবী শিক্ষার্থী মঞ্জুরুল হাসান রাজু। অস্ত্রপচার করে গুলি বের করা প্রয়োজন। কিন্তু অর্থাভাবে তা সম্ভব হচ্ছেনা বলে জানিয়েছে পরিবার।
গতকাল মঙ্গলবার রাজুর বাবা মো. হেমায়েত উদ্দিন হাওলাদার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আহত ছেলের অপারেশনের জন্য আর্থিক সাহায্যের জন্য আবেদন করেন।
রাজু ঢাকার গ্রীন ইউনিভার্সিটি’র কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী এবং ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার সাবেক স্কুলশিক্ষক মো. হেমায়েত উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে। মিরপুর এলাকায় একটি মেসে থাকতেন তিনি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে ৪ আগস্ট মিরপুরে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। কপালের বা দিকে গুলি লাগার পর শিক্ষার্থীরা তাকে উদ্ধার করে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেন। এর পর তাকে নেয়া হয় সম্মিলিত সামরিক হাসপতালে। অপারেশনের জন্য দুই সপ্তাহ সময় নেন চিকিৎসকরা। স্বজনরা তাকে বাসায় নিয়ে আসেন।
রাজুর বাবা মো. হেমায়েত স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, তার দুই মেয়ে ও তিন ছেলের মধ্যে রাজু ছোট। ৫ম ও ৮ম শ্রেণিতে বৃত্তি এবং এসএসসি ও এইচএসসিতে রাজুর রেজাল্ট ভালো। এখন ঢাকার ইউনিভার্সিটি’র কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষে পড়েন।
তিনি আরো জানান, আহত হওয়ার পরে চিকিৎকের পরামর্শে রাজুকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও অর্থাভাবে রাজুর অপারেশন করা সম্ভব হচ্ছেনা। পড়াশোনার ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তিত তার পরিবার।