দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক : যমুনার ভাঙনে বিলীনের পথে বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার শিমুলতাইড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টির একাংশ ইতিমধ্যে যমুনায় বিলীন হয়ে গেছে। তাই বিদ্যালয়টি বাঁচানোর আশা ছেড়ে দিয়ে উপজেলা প্রশাসন এখন তা নিলামে বিক্রির চেষ্টা করছে। এছাড়া শিমুলতাইড় এলাকার শতাধিক পরিবারও যমুনার ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছেন। জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, বরাদ্দ পাওয়া মাত্র ওই এলাকায় ভাঙনরোধে কাজ শুরু করা হবে।
জানা যায়, বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে গত কয়েকদিন ধরে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও গত শনিবার থেকে এ নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। পানি কমায় গত রবিবার দুপুরের দিকে উপজেলার চালুয়াবাড়ী ইউনিয়নের শিমুলতাইড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে যমুনা নদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করে। এতে এ বিদ্যালয়টি যমুনা নদীতে বিলীন হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে একাংশ যমুনায় বিলীন হয়ে গেছে।
গত বছর এ বিদ্যালয়ের পাশে ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করলে ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন বগুড়া জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম। পরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে ভাঙনকবলিত এলাকায় জিও এবং টিও ব্যাগ ফেলা হয়। এতে এ এলাকায় যমুনা নদীর ভাঙন কিছুটা রোধ হয়। কিন্তু গত রবিবার দুপুরে ভাঙন শুরুর পর শিমুলতাইড় গ্রামের শতাধিক পরিবার ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে। ভাঙন হুমকিতে রয়েছে এ গ্রামের একমাত্র আশ্রয়ণ প্রকল্পটিও।
ওই গ্রামের বাসিন্দারা জানান, গত বছরও ভাঙন শুরু হয়েছিল। জিও ব্যাগ দেওয়ায় ভাঙন ঠেকানো গেছে। এবার হঠাৎই ভাঙন শুরু হয়েছে। প্রাথমিক বিদ্যালয় বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ব্যবস্থা নেওয়া না হলে গ্রামের শতাধিক পরিবার ভিটেছাড়া হতে পারে।
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম কবির বলেন, ‘যেহেতু বিদ্যালয়টির পরিস্থিতি খুবই খারাপ তাই এটি নিলামে বিক্রি করে দেওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর আবেদন দিয়েছি।’
সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুর রহমান বলেন, ‘যেহেতু বিদ্যালয়টির পরিস্থিতি তেমন ভালো মনে হচ্ছে না, তাই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে বিদ্যালয় ভবন নিলামে দেওয়া হচ্ছে।’
বগুড়া জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির বলেন, ‘বিদ্যালয়টি রক্ষার জন্য প্রাপ্ত বরাদ্দ অনুযায়ী আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়েছি। এখানে বড় আকারের বাজেট প্রয়োজন। তাই বিদ্যালয়সহ এলাকাবাসীকে বাঁচাতে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে খুব দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।’