যশোরে প্রায় সাড়ে ৬শ’ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নেই কোনো শহীদ মিনার। তবে এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা কলাগাছ, কাপড় ও বাঁশের কঞ্চি দিয়ে অস্থায়ী শহীদ মিনার বানিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করছে। শ্রদ্ধা জানাচ্ছে, স্মরণ করছে ভাষা শহীদদের। যশোর জেলার ৮ উপজেলায় প্রাথমিক, মাধ্যমিক, মাদরাসা ও কলেজের সংখ্যা ১ হাজার ৯০০।
যশোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) শাম্মী ইসলাম জানান, অনেক স্কুলে জায়গার সংকটের কারণে শহীদ মিনার নির্মাণ করা যাচ্ছে না। যেসব স্কুলে শহীদ মিনার নেই সেগুলোর আশপাশের কোনো স্কুলের শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানান। তবে জেলায় শহীদ মিনার নেই এমন স্কুলে তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে প্রতিটি স্কুলে শহীদ মিনার নির্মাণ করা হবে।
জানা যায়, যশোর জেলার ৮ উপজেলায় এক হাজার ৯০০ সরকারি প্রাথমিক, মাধ্যমিক, মাদরাসা ও কলেজের সাড়ে ৬০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই। সদর উপজেলায় ৪০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭৭টি, বাঘারপাড়া উপজেলার ১৯৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫৫টি, অভয়নগর উপজেলায় ২১৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৮৬টি, ঝিকরগাছা উপজেলাতে ২২৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৮৪টি, চৌগাছা উপজেলাতে ১৯৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫০টি, মণিরামপুর উপজেলার ৪৭১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৩৮টি, শার্শা উপজেলার ২০৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬১টি ও কেশবপুর উপজেলায় ২৯৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৮০টিতে শহীদ মিনার নেই।
যশোর সদর উপজেলার দত্তপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানায়, তাদের স্কুলে শহীদ মিনার না থাকায় একুশে ফেব্রয়ারির দিনে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানানো হয় না। স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবদুল জব্বর জানান, শহীদ মিনার নেই, এ কথা সত্য। তবে শহীদ মিনার স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
প্রধান শিক্ষক জানান, সরকারি বরাদ্দ না পাওয়ায় কলেজ প্রাঙ্গণে শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়নি। সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার জাহাঙ্গীর হুসাইন মিঞা জানান, শহীদ মিনার নেই এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রস্তুত করে জেলা শিক্ষা অফিসে পাঠানো হয়েছে।