পরীক্ষার খাতা (উত্তরপত্র) গোপন করার অভিযোগে শো’কজের পর যশোর শিক্ষাবোর্ডের নিম্নমান অফিস সহকারী রাসেল পান্নাকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার(১৭ এপ্রিল) বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাধব চন্দ্র রুদ্র এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তার বিরুদ্ধে বহিষ্কার আদেশ মঙ্গলবার থেকেই কার্যকর হবে। একই সঙ্গে এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
সূত্র জানায়, যশোর শিক্ষাবোর্ডের নিম্নমান অফিস সহকারী রাসেল পান্নার বিরুদ্ধে উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষার খাতা (উত্তরপত্র) গোপন করার অভিযোগে শো’কজ করা হয়। তার কক্ষের আলমারি থেকে উদ্ধার করা হয় একশ’টি খাতা (উত্তরপত্র)। পরীক্ষার খাতা কোন কর্মকর্তা-কর্মচারীর ব্যক্তিগত রুমে ঊর্ধ্বতন কাউকে না জানিয়ে রাখার কোন নিয়ম নেই। কিন্তু নিয়ম না মেনে রাসেল পান্না বাংলা প্রথমপত্রের একশ’ কপি খাতা রেখেছিলেন তার কক্ষের আলমারিতে। যা রাখা সম্পূর্ণভাবে অবৈধ।
উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (উচ্চ মাধ্যমিক) সমীর কুমার কুন্ডু বলেন, তিনি শুনেছেন তার আলমারিতে খাতা (উত্তরপত্র) ছিল। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রককে জানানোর পর পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের ব্যক্তিগত সহকারী নজরুল ইসলাম গত রবিবার খাতাগুলো উদ্ধার করেন।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাধব চন্দ্র রুদ্র জানান, কী কারণে তিনি খাতা (উত্তরপত্র) নিয়েছেন বিষয়টি তদন্তের পর জানা যাবে। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আগে শোকজ করা হয়। তিনি বলেন, তাকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। যতক্ষণ তদন্ত কমিটির রিপোর্ট হাতে না আসছে ততক্ষণ রাসেল পান্নার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না। তবে তাকে পরীক্ষা সংক্রান্ত সকল কাজ থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
চেয়ারম্যান প্রফেসর মোহাম্মদ আব্দুল আলীম বলেন, রাসেল পান্নার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা বিভাগে খাতা (উত্তরপত্র) নেয়ার ব্যাপারে যদি তদন্ত কমিটি সত্যতা পায় তাহলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।