সিলেটের জৈন্তাপুরে মুক্তার আহমদ নামে এক গৃহশিক্ষককে এমন নিশৃংসভাবে হত্যার পর মরদেহ রাস্তা সংলগ্ন যাত্রী ছাউনির পেছনে ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা।
রোববার (৪ ডিসেম্বর) সকালে সিলেট-তামাবিল সড়কের সীমান্তবর্তী জৈন্তাপুর উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নে দিঘীরপাড় যাত্রী ছাউনির পেছনে বিবস্ত্র অবস্থায় মরদেহটি দেখতে পান স্থানীয়রা।
নিহত মুক্তার আহমদ ওই ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের তেলিজুরী গ্রামের রহমত উল্লাহর ছেলে। তিনি পেশায় গৃহশিক্ষক ছিলেন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে জৈন্তাপুর থানা পুলিশ, জৈন্তাপুর উপজেলা চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, দরবস্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাহারুল আলম বাহারসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ঘটনাস্থলে যান।
দরবস্ত ইউপি চেয়ারম্যান বাহারুল আলম বলেন, মুক্তার গৃহশিক্ষক ছিলেন। কে বা কারা তাকে রাতের আধারে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে, এরপর মরদেহ যাত্রী ছাউনির পেছনে ফেলে রেখে গেছে। আমরা বিভৎস অবস্থায় তার ক্ষতবিক্ষত মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দিয়েছি। পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করেছে।
ছেলের মরদেহ দেখে বার বার মুর্ছা যাচ্ছিলেন নিহতের বাবা রহমত উল্লাহ ও তার মা। তারা জানান, শনিবার মাগরিবের নামাজ পড়ে মুক্তার বেরিয়ে যান। রাতে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। তারা ভেবেছিলেন, হয়তো খেলা দেখতে কোথাও দেরি করছে। কিন্তু সকালে লোক মারফতে শুনতে পান, মুক্তারের মরদেহ রাস্তার পাশে পড়ে আছে।
ঘটনাস্থলে বিলাপরত নিহতের বোনের দাবি, স্থানীয় সাবেক চেয়ারম্যান, তার মামা ও মামাতো ভাইরা টাকার লোভে তার ভাইকে হত্যা করেছে। এর আগেও তারা তার বাবাকে হত্যা করতে চেয়েছিল। এবার তারা পরিকল্পিতভাবে ভাইকে হত্যা করেছে।
ভাইয়ের হত্যাকারীদের আইনের আওতায় এনে ফাঁসির দাবি জানান তিনি।
নিহতের বাবা রহমত উল্লাহ বলেন, তাদের প্রতিবেশির সঙ্গে আর্থিক লেনদেন ও জমি সংক্রান্ত বিরোধ ছিল। সেই বিরোধ থেকে তার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কয়েকজনকে সন্দেহ করছেন তিনি।
সিলেটের জৈন্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম দস্তগীর বলেন, বেলা পৌনে ১২টার দিকে আলামত সংগ্রহ ও মরদেহ উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনও কাউকে আটক করা হয়নি।