গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে পড়েন তাজিন রহমান। থাকেন আজিমপুর এলাকায়। প্রতিদিন বাসেই বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতায়াত করেন। স্বাভাবিক যানজটের দিনে শ্যামলী থেকে বাসে করে আজিমপুর পৌঁছতে তার ৩৫ থেকে ৪৫ মিনিট সময় লাগে।
আজ রবিবার সময় লেগেছে আড়াই ঘণ্টার বেশি। তাজিন রহমান বলেন, ‘আজ যেন বাস চলছিলই না। দুপুর দেড়টায় বাসে উঠে বিকেল ৪টা ৫ মিনিটে আজিমপুরে নেমেছি। এমন একটিও ট্রাফিক সিগন্যাল ছিল না যেখানে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি।
এই শিক্ষার্থীর মতোই অবস্থা কর্মজীবী মোশারফ খানের। তিনি অবশ্য নিজের মোটরসাইকেলে করে আগারগাঁও থেকে এসেছেন সেগুন বাগিচা। তাতেই তার পৌনে দুই ঘণ্টা সময় লেগেছে। মোশারফ বলেন, ‘মৎস্য ভবনের সামনের সিগন্যালেই ২০ মিনিট আটকে থাকতে হয়েছে।
সপ্তাহের প্রথম কর্ম দিবস আজ রবিবার ঢাকার প্রায় সব মূল সড়কেই ছিল তীব্র যানজট। শাহাবাগ, কারওয়ান বাজার, বিজয় সরনি, বনানী, শ্যামলী, কল্যাণপুর, নিউ মার্কেট, গুলিস্থান, পল্টন, মালিবাগ, খিলগাঁও, রামপুরা ও বাড্ডা এলাকায় যানজট পরিস্থিতি দেখা যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কে গাড়ির চাপের কারণে ট্রাফিক সিগন্যালগুলো লম্বা হচ্ছে। অনেকক্ষণ পর পর গাড়ি নড়ছে। অনেক মানুষ বাস থেকে নেমে হেঁটে গন্তব্যে যাচ্ছেন।
মূল সড়কের যানজট এলাকার সংযোগ সড়কগুলোতেও পৌঁছে গেছে। জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার মুনিবুর রহমান বলেন, ‘গত দুই দিন বৃষ্টি থাকার কারণে মানুষ খুব একটা বাইরে বের হতে পারেনি তাই আজ সড়কে চাপ বেড়েছে। আবার সামনে পূজা। তাই পূজা উপলক্ষে অনেকে কেনাকাটার জন্য বের হয়েছেন। স্কুল, অফিস সবই খোলা। তাই যানজটের চাপ বেশি মনে হচ্ছে।’