পরীক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে অসমাপ্ত পরীক্ষা বাতিল করে সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ে দেয়া এবারে এইচএসসি ও সমমানের ফল নিয়ে চলছে অম্লমধুর আলোচনা। পাসের হার আগের বছরের চেয়ে কিছুটা কমলেও জিপিএ-৫ বেড়েছে অর্ধলাখেরও বেশি। জিপিএ-৫ এতো বাড়ার কারণ কী- তা নিয়ে চলছে বিশ্লেষণ। আবার সাবজেক্ট ম্যাপিং নিয়ে স্বচ্ছ ধারণা না থাকায় খোদ শিক্ষকরাও নানা প্রশ্ন করছেন শিক্ষা বোর্ডগুলোর কর্মকর্তাদের কাছে।
এমন প্রেক্ষাপটে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকারের কাছে জানতে চাওয়া হয়, এসএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগে পড়া কোনো শিক্ষার্থী মানবিকে এইচএসসি দিয়েছেন। এক্ষেত্রে তার এসএসসির সব বিষয়ের সঙ্গে এইচএসসির সব বিষয় মিলবে না। তাহলে তার মানবিক বিভাগের পরীক্ষা না হওয়া বিষয়ের ফল কীভাবে তৈরি করা হলো?
উত্তরে দৈনিক আমাদের বার্তাকে তিনি বলেন, এসএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগে পড়ে যে শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন, তিনি হয়তো উচ্চ মাধ্যমিকে মানবিক অথবা ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে পড়েছেন। এসএসসির বিজ্ঞানের বিষয়গুলোর নম্বর এইচএসসিতে এসে মানবিক বিভাগের বিষয়গুলোর বিপরীতে যোগ হয়েছে। ঠিক এ কারণেই এবার এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পাওয়ার সংখ্যা গত বছরের চেয়ে বেশি। সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের কারণে এবার জিপিএ-৫ বেড়েছে।
বিষয়টি আরো স্পষ্ট করে করে আন্তঃশিক্ষাবোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক তপন সরকার বলেন, হয়তো মাধ্যমিকে কেউ কেমিস্ট্রিতে জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন, এবার উচ্চ মাধ্যমিকে হয়তো মানবিক বিভাগে এসে ইসলামের ইতিহাস পরীক্ষা দিতে পারেননি। সেই শিক্ষার্থীর কেমিস্ট্রির জিপিএ-৫ যোগ হয়েছে তার এবারের ইসলামের ইতিহাসে। এভাবেই এসএসসির ফল বিবেচনায় নিয়ে এবার সাবজেক্ট ম্যাপিং করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সাবজেক্টে ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে ফল প্রকাশ এর আগেও হয়েছিলো। করোনাকালে সব পরীক্ষা নিতে না পারায় সে সময় এই পদ্ধতি অনুসরণ করেছিলো শিক্ষা বোর্ডগুলো। এবার সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ে পরীক্ষার্থীদের বাতিল হওয়া বিষয়গুলোর এসএসসির ফলের পূর্ণ নম্বরের ভিত্তি ধরে করা হয়েছে। অর্থাৎ পরীক্ষা বাতিল হওয়া বিষয়গুলোর ফল তৈরিতে এসএসসির ওই একই বিষয়ের ফল বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। আবার যে পরীক্ষাগুলো অনুষ্ঠিত হয়েছে সেগুলোর উত্তরপত্র মূল্যায়ন করা হয়েছে স্বাভাবিক নিয়মে। সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের বিষয়ে একটি নীতিমালাও রয়েছে।
অধ্যাপক সরকার আরো বলেন, সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ে ফল তৈরি করতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের এসএসসির ফল বিবেচনায় নেয়া হয়। অর্থাৎ কোনো শিক্ষার্থী এসএসসিতে কোনো বিষয়ে যে নম্বর পেয়েছেন, সেই নম্বরই তাকে দেয়া হয়েছে। কিন্তু কোনো শিক্ষার্থী যখন বিজ্ঞান থেকে এসএসসি পাসের পর উচ্চ মাধ্যমিকে এসে মানবিক কিংবা ব্যবসায় শিক্ষা নেন, তখন তিনি পেয়েছেন তার এসএসসির বিজ্ঞানের কোনো বিষয়ের নম্বর।
শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।