প্রতি বছর রমজান আসলে ২৯ কিংবা ৩০টি রোজা পালন করেন মুসল্লিরা। তবে ২০৩০ খ্রিষ্টাব্দে রাখতে হবে ৩৬টি রোজা। এ ছাড়া ২০৩৩ খ্রিষ্টাব্দেও পুরো দুই মাস রোজা পালন এবং তিনটি ঈদ হতে পারে।
এমনটি কেন?
বিষয়টি নিয়ে দুবাই অ্যাস্ট্রোনমি গ্রুপের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার হাসান আহমেদ আল হারিরি বলেন, ২০৩০ খ্রিষ্টাব্দে দুটি রমজান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
কারণ হিসেবে চন্দ্র বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইংরেজি বর্ষপঞ্জি ও চান্দ্র বছরের মাসগুলোর পার্থক্যের কারণে এমনটা ঘটবে। সাধারণত ইংরেজি বছরের মাসগুলো ৩০ অথবা ৩১ দিনে নির্ধারিত থাকে। তবে চান্দ্র বছরের মাসগুলো নির্ধারিত হয় ২৯ অথবা ৩০ দিনে। মাসে দিনের এই পার্থক্যের কারণে ইংরেজি বছর শেষে চান্দ্র বছর ১১ দিন কমে যায়। আর বছরে ১১ দিন পার্থক্য থেকে যাওয়ায় ২০৩০ খ্রিষ্টাব্দে দুবার রমজান মাস পাবে মুসলমানরা, বললেন চন্দ্র বিশেষজ্ঞ মিনহাল খান।
এ ছাড়া ২০৩০ খ্রিষ্টাব্দের গ্লোবাল ইসলামিক ক্যালেন্ডারেও এই তথ্যের সত্যতা পাওয়া গেছে। ইসলামিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, ২০৩৩ খ্রিষ্টাব্দেও দুবার পূর্ণ রমজান মাস আসবে এবং সে বছর মোট তিনটি ঈদ অনুষ্ঠিত হবে।
সৌদি আরব বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগের জলবায়ুর অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহ আল মুসনাদ বলেন, ১৪৫১ হিজরির পবিত্র রমজান মাস শুরু হবে ২০৩০ খ্রিষ্টাব্দের ৫ জানুয়ারি। এ মাসটি ৩০ দিন পূর্ণ হবে। অর্থাৎ ফেব্রুয়ারির ৩ তারিখে শেষ হবে রমজান মাস। এ হিসাবে রমজান মাসের রোজা হবে ৩০টি।
এরপর একই বছর ২৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে ১৪৫২ হিজরির রমজান মাস। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মুমিন মুসলমান ৬ দিন রোজা পালন করবে। সে হিসাবে ২০৩০ খ্রিষ্টাব্দে মুসলিম উম্মাহ ৩৬ দিন রোজা পালন করবে। এ ছাড়া ২০৩০ খ্রিষ্টাব্দের গ্লোবাল ইসলামিক ক্যালেন্ডারেও এই তথ্যের সত্যতা পাওয়া গেছে।
ইসলামিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, ২০৩৩ খ্রিষ্টাব্দেও দুবার পূর্ণ রমজান মাস আসবে। সে বছর দুবার ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হবে। যার ফলে ২০৩৩ খ্রিষ্টাব্দে মোট তিনটি ঈদ অনুষ্ঠিত হবে।