যৌন নিপীড়নের দায়ে যবিপ্রবির ৯ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

যশোর প্রতিনিধি |

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ১২ শিক্ষার্থীকে র‌্যাগিং, যৌন নিপীড়ন ও বিকৃত যৌনাচারে বাধ্য করার অভিযোগে দুই শিক্ষার্থীকে আজীবন, একজনকে দুই বছর এবং আরও ছয়জনকে এক বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত ও ভুক্তভোগী সবাই পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র। এ ব্যাপারে যশোর কোতোয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করা হবে বলেও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীবের স্বাক্ষর করা এক অফিস আদেশে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত গ্রহণের কথা জানানো হয়।

আজীবন বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী দুইজন হলেন, পদার্থ বিজ্ঞান দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মো. অলি উল্লাহ ও মাহমুদুল হাসান। এছাড়া দুই বছরের জন্য বহিষ্কার হয়েছেন একই বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র রজিবুল হক রজব, এক বছরের জন্য বহিষ্কার হয়েছেন চতুর্থ বর্ষের ছাত্র মো. আব্দুল কাদের, দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আল মুজাহিদ আফ্রিদি, মো. শহিদুল ইসলাম, মো. রোকনুজ্জামান রোকন, অনুপ মালাকার এবং মো. শামীম বিশ্বাস। এ ঘটনায় পরোক্ষভাবে জড়িত থাকার অভিযোগে চূড়ান্তভাবে সতর্ক করা হয়েছে চতুর্থ বর্ষের ছাত্র আবু বক্কর সিদ্দিকী, দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র শতদল পাল ও ইমরান হোসেনকে।

যবিপ্রবি’র জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আব্দুর রশিদ জানান, ভুক্তভোগীরা এ ব্যাপারে প্রক্টর অফিসে অভিযোগ করায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। কমিটি ভুক্তভোগী ১২ জনসহ মোট ৪০ জন শিক্ষার্থী ও অভিযুক্তদের সঙ্গে কথা বলে ঘটনার সত্যতা পান। এ ঘটনায় জড়িত ছাত্ররা তদন্ত কমিটির সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেন ও অসংলগ্ন কথা বলেন। ঘটনায় জড়িত থাকার ব্যাপারে তারা কোনো অনুতাপ বা দুঃখও প্রকাশ করেনি। উল্টো র‌্যাগিংয়ের শিকার ছাত্রদের ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রক্টর অফিস থেকে অভিযোগ প্রত্যাহারে বাধ্য করানো হয়। এ সংক্রান্ত ফোনকলের রেকর্ডও তদন্ত কমিটির হাতে রয়েছে।

আব্দুর রশিদ জানান, র‌্যাগিংয়ের শিকার একজন ছাত্র ঘটনার পর থেকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ভুক্তভোগী অন্যরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন এবং স্বাভাবিক হতে পারছেন না। এসব কারণে তদন্ত কমিটি দোষীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করে। এরই প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আচরণবিধির ৩ এর এ ও বি অনুযায়ী দোষী শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ - dainik shiksha শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল - dainik shiksha সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা - dainik shiksha রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা - dainik shiksha শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0043489933013916