রমজানে একসঙ্গে পুরো মাসের পণ্য না কেনার অনুরোধ বাণিজ্যমন্ত্রীর

দৈনিকশিক্ষা প্রতিবেদক |

আসন্ন রমজান মাসে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে একসঙ্গে পুরো মাসের পণ্য না কেনার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। 

বুধবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের পঞ্চম সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ আহ্বান জানান।

টিপু মুনশি বলেন, রোজা শুরু হওয়ার প্রথম সাতদিন পণ্য কেনায় যে উপচেপড়া ভিড় থাকে, তা দরকার নেই। সবাই ভাবে একমাসের পণ্য কিনবেন, তারও দরকার নেই। কারণ, একসঙ্গে সবাই পণ্যক্রয় করলে বাজারে একটা কৃত্রিম সংকট তৈরি হয়। বিক্রেতারা এটাকে সুযোগ মনে করে দাম বাড়িয়ে দেয়। তাই একসঙ্গে পণ্যক্রয় থেকে সবাইকে বিরত থাকতে হবে। 

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, রমজানের প্রথম সপ্তাহে ক্রেতারা যেভাবে বাজারে হুমড়ি খেয়ে পড়েন, সেটা থেকে সবাইকে বিরত থাকতে হবে। কাইন্ডলি আপনারা (সাংবাদিক) তাদের বলুন, এটির দরকার নেই। কারণ, দোকানে যখন ১০০ কেজি মাল থাকে, তখন যদি ১০ জন ক্রেতার প্রত্যেকে একসঙ্গে ১০০ কেজি করে কিনতে চায় তখন মনে হয় সংকট, যেটা আর্টিফিশিয়াল (কৃত্রিম)।

তিনি বলেন, রেগুলার কেনাকাটা করলে এই চাপটা হয় না। এটা কিন্তু একটা বড় ধরনের ঝামেলা। আমরা লক্ষ্য করছি রমজানের প্রথম সাতদিনই বেশি সংকট তৈরি হয়। কারণ, রমজানের আগে থেকে সাত দিনের পণ্য কিনে নিলে পরের ৭-৮ দিন চলে যায়। তখন দেখা যায় বাজার স্বাভাবিক হয়ে আসছে। রমজান মাসের আগেই সব কিনে নিতে হবে? রমজান মাসে আমার ৩০ কেজি পেঁয়াজ লাগবে, যখন একসঙ্গে কিনে ফেলতে চাই তখন তো বাজারে সমস্যা হবেই।

বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, সব মানুষ যদি মনে করে এক দিনেই সব কিনে ফেলবে, তাহলে তো বাজারে সংকট তৈরি হবেই। সাপ্লাইটা তো ঠিক রাখতে হবে। হুট করে বেশি পণ্য কেনার দরকার নেই। এটা সারা মাস ধরেই পাওয়া যাবে। এক মাসের পণ্য কেউ যেন একসঙ্গে না কেনে। তাহলে বাজারে সমস্যা হবে না। আমরা সার্বাত্মক চেষ্টা করছি, যেন রমজান মাসে বাজারে সংকট সৃষ্টি না হয়।

টিপু মুনশি আরও বলেন, আজকে সাতটা বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে। চিনির মজুত পরিস্থিতি ভালো। তবু দাম একটু বেশি। রমজানে দাম নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না। অনেক সময় ছোটো সংকটকে আমরা বড় করে দেখি। আমাদের ভোক্তা অধিকার সক্রিয় রয়েছে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষক লাঞ্ছিত ও পদত্যাগে বাধ্য করার প্রতিবাদ, কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি বিটিএর - dainik shiksha শিক্ষক লাঞ্ছিত ও পদত্যাগে বাধ্য করার প্রতিবাদ, কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি বিটিএর মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবি - dainik shiksha মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবি আন্দোলনে অসুস্থ ১১ নার্সিং শিক্ষার্থী - dainik shiksha আন্দোলনে অসুস্থ ১১ নার্সিং শিক্ষার্থী প্রধান শিক্ষককে জোর করে পদত্যাগপত্রে সই - dainik shiksha প্রধান শিক্ষককে জোর করে পদত্যাগপত্রে সই জলবায়ু পরিবর্তন মারাত্মক প্রভাব ফেলছে শিক্ষা খাতে - dainik shiksha জলবায়ু পরিবর্তন মারাত্মক প্রভাব ফেলছে শিক্ষা খাতে বয়স ৩৫ করার দাবিতে শাহবাগে চাকরি প্রত্যাশীদের মহাসমাবেশ - dainik shiksha বয়স ৩৫ করার দাবিতে শাহবাগে চাকরি প্রত্যাশীদের মহাসমাবেশ এমপিওভুক্তি: দীপু মনির ভাই টিপুচক্রের শতকোটি টাকার বাণিজ্য - dainik shiksha এমপিওভুক্তি: দীপু মনির ভাই টিপুচক্রের শতকোটি টাকার বাণিজ্য অধ্যক্ষকে পদত্যাগে বাধ্য, আওয়ামী লীগ নেতাকে স্থলাভিষিক্ত করার চেষ্টা - dainik shiksha অধ্যক্ষকে পদত্যাগে বাধ্য, আওয়ামী লীগ নেতাকে স্থলাভিষিক্ত করার চেষ্টা ভুয়া নিয়োগে এমপিও: এক মাদরাসার ১৫ শিক্ষকের সনদ যাচাই করবে অধিদপ্তর - dainik shiksha ভুয়া নিয়োগে এমপিও: এক মাদরাসার ১৫ শিক্ষকের সনদ যাচাই করবে অধিদপ্তর বার্ষিক পরীক্ষার উদ্দীপকসহ ও উদ্দীপক ছাড়া প্রশ্ন - dainik shiksha বার্ষিক পরীক্ষার উদ্দীপকসহ ও উদ্দীপক ছাড়া প্রশ্ন একসঙ্গে তিন প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন তুলতেন মাদরাসা কর্মচারী - dainik shiksha একসঙ্গে তিন প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন তুলতেন মাদরাসা কর্মচারী কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0054919719696045