বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় প্রথম পরীক্ষায় রসায়নে ফেল করেছিলেন মুঙ্গি জি বাওয়েন্দি। শুধু তাই নয়, সহপাঠীদের মধ্যে সবচেয়ে কম নম্বরও পেয়েছিলেন তিনি। সেই রসায়নেই নোবেল পুরস্কার পেয়ে তাক লাগিয়ে দিলেন ম্যাসাসুয়েটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির অধ্যাপক বাওয়েন্দি। এ শাস্ত্রে অসামান্য অবদানের জন্য বাওয়েন্দির সঙ্গে নোবেল পেয়েছেন আরও দুজন।
বুধবার রসায়নে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। তিনি ছাড়াও বাকি দুজন হলেন আলেক্সি ইয়াকিমভ (সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন) ও লুই ব্রুস (যুক্তরাষ্ট্র)। কোয়ান্টাম বিন্দুর আবিষ্কার এবং সংশ্লেষণের জন্য তারা এ পুরস্কার পেয়েছেন।
বার্তা সংস্থা এএফপির বরাতে সায়েন্স অ্যালার্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাওয়েন্দি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় প্রথম পরীক্ষায় রসায়নে ফেল করেছিলেন। শুধু তাই নয়, ক্লাসের সবচেয়ে কম নম্বরও পেয়েছিলেন তিনি। তবে ওই ব্যর্থতায় থেমে যাননি তিনি। ১৯৭০-এর দশকে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করতে যান বাওয়েন্দি। তুখোর মেধাবী বাওয়েন্দিকে স্কুল জীবনে কখনো পরীক্ষার জন্য খুব একটা কষ্ট করতে হয়নি। তবে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রথম পরীক্ষাতেই তিনি ফেল করেন।
ফেল করার কারণও বলেছেন নোবেলজয়ী এ বিজ্ঞানী। তিনি বলেন, ‘আমি সাধারণত পরীক্ষার জন্য খুব একটা পড়ালেখা করতাম না। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশাল পরীক্ষার কেন্দ্র ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকদের উপস্থিতির কারণে ঘাবড়ে গিয়েছিলাম।’
নিজের অবস্থার বর্ণনা দিয়ে বাওয়েন্দি বলেন, ‘আমি প্রথম প্রশ্নের দিকে তাকিয়ে দেখি সেটি পারছি না। দ্বিতীয়টির দিকে তাকিয়েও একই অবস্থা হয় আমার। ওই পরীক্ষায় আমি ১০০ নম্বরের মধ্যে মাত্র ২০ নম্বর পেয়েছিলাম। সেটা ছিল ক্লাসের সবার চেয়ে কম নম্বর।’
রসায়নের এ বিজ্ঞানী বলেন, ‘ফল দেখে ভেবেছিলাম আমার শিক্ষাজীবন হয়তো শেষ হতে যাচ্ছে।’ ওই সময়ের অনুভূতি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম, হায় খোদা, এই বোধ হয় আমার শেষ! আমি এখানে আসলে কী করতে এসেছি?’
পরিস্থিতি উত্তরণের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘রসায়নের প্রতি আলাদা টানের কারণে আমি পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার হতে পেরেছিলাম। আমি দ্রুতই বের করলাম যে কীভাবে পড়তে হয়। এ বিষয়টি আমি আগে জানতাম না। বিষয়টি বুঝতে পারার পর আমি প্রতি পরীক্ষায় ১০০ করে নম্বর পেয়েছি।’