রাজধানীতে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক |

রাজধানীর খিলগাঁওয়ের দক্ষিণ গোড়ান এলাকার একটি বাসা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী মারজানা আক্তারের (৩১) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার সকালে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় তার ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়। একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপত্যবিদ্যা বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্রী ছিলেন তিনি। তার মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

খিলগাঁও থানার ওসি ফারুকুল আলম বলেন, মারজানার স্বামী রাসেল মাহমুদ একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি। স্ত্রীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় তিনি আলাদা থাকেন। সহপাঠী এক যুবকের সঙ্গে মৃতের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। মেসেঞ্জারে দু'জনের কথোপকথনের কিছু তথ্য-প্রমাণও মিলেছে। সব মিলিয়ে প্রাথমিকভাবে এ ঘটনাকে আত্মহত্যা বলেই ধারণা করা হচ্ছে। সহপাঠী যুবকের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে।

আরও পড়ুন : দৈনিক শিক্ষাডটকম পরিবারের প্রিন্ট পত্রিকা ‘দৈনিক আমাদের বার্তা’

পুলিশ জানায়, দক্ষিণ গোড়ানের বাগানবাড়ি এলাকার একটি আবাসিক ভবনের চতুর্থ তলায় সাত বছরের ছেলে ও ভাগ্নেকে নিয়ে থাকতেন মারজানা। গতকাল সকালে তার ছেলে ঘুম থেকে জেগে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় মায়ের নিথর দেহ দেখতে পায়। ভয় পেয়ে সে তার বাবা রাসেলকে ফোন করে। রাসেল তাকে ভিডিও কল দিতে বলেন। এর মাধ্যমে তিনি পরিস্থিতি দেখে ছেলেকে পাশের ফ্ল্যাটের লোকজন ও স্বজনদের জানানোর পরামর্শ দেন।

একপর্যায়ে খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে যায়। মারজানাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক জানান, অনেক আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। পুলিশের ধারণা, মঙ্গলবার রাত ১০টার পর কোনো এক সময় তিনি গলায় ফাঁস দেন। মারজানা পড়ালেখার পাশাপাশি ভবন নির্মাণ-সংশ্নিষ্ট একটি প্রতিষ্ঠানে খণ্ডকালীন চাকরি করতেন। তার গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার কামারপাড়ায়। তার বাবার নাম আফাজ উদ্দীন হাওলাদার।

দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব ও ফেসবুক পেইজটি ফলো করুন

পুলিশ জানায়, সহপাঠীর সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে জটিলতার একপর্যায়ে স্বামীকে তালাক দেন মারজানা। তবে পরে পারিবারিক বৈঠকে বিষয়টি স্থগিত করা হয়। যদিও তাদের স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক আর স্বাভাবিক হয়নি। এদিকে মেসেঞ্জারে সহপাঠীর সঙ্গে মারজানার কথোপকথন পর্যালোচনা করে তাদের মধ্যে অন্তরঙ্গ সম্পর্ক থাকার আভাস মিলেছে। সম্ভবত আর্থিকভাবে সেই যুবকের ওপর কিছুটা নির্ভরশীলও ছিলেন মারজানা।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ - dainik shiksha শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল - dainik shiksha সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা - dainik shiksha রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা - dainik shiksha শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0042929649353027