রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জমিতে অন্যের বাড়ি, উদ্ধারের উদ্যোগ নেই

রাবি প্রতিনিধি |

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) দ্বিতীয় ক্যাম্পাস নামে পরিচিত ‘নারিকেল বাড়িয়া’য় জমি দখল করে বসতভিটা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এসব ব্যক্তির বিরুদ্ধে। কয়েক বছর ধরে ওই ব্যক্তি পরিবারসহ সেখানে বসবাস করছেন। কিন্তু জমি উদ্ধারের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি ক্যাম্পাস রয়েছে।

এর মধ্যে মূল ক্যাম্পাসটি মতিহার থানার আওতাধীন ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কসংলগ্ন ৭০০ একর জুড়ে বিস্তৃত। এখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এখান থেকে তিন কিলোমিটার উত্তরে খড়খড়ি বাইপাসসংলগ্ন আরেকটি ক্যাম্পাস রয়েছে। যেটি নারিকেলবাড়িয়া নামে পরিচিত। ৫৩ বিঘা জমির ওপর গড়ে ওঠা এই ক্যাম্পাসটিতে মূলত ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিম্যাল সায়েন্স এবং ক্রপ সায়েন্স বিভাগের শিক্ষার্থীদের  ব্যবহারিক ও গবেষণা মাঠ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। তবে সম্প্র্রতি ওই ক্যাম্পাসের জায়গা দখল করে বসতবাড়ি নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় যুবক আইনুল হক সুমনের বিরুদ্ধে।

গত ১৩ ডিসেম্বর সরেজমিনে দেখা যায়, সবুজে আচ্ছাদিত ক্যাম্পাস এলাকা। ভেতরে ভেটেরিনারি শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক ক্লাসের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে পশু হাসপাতাল। এ ছাড়া গবেষণার জন্য ছাগল, ভেড়া, গরু এবং হাঁস-মুরগি পালন করা হয়। ক্যাম্পাসে লোকসমাগম নেই বললেই চলে। নিরাপত্তা ব্যবস্থাও নাজুক। ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকে নেই কোনো প্রহরী। ক্যাম্পাস এলাকার মধ্যে গড়ে উঠেছে ইটের তৈরি বসতবাড়ি। ক্যাম্পাসের দক্ষিণ পাশে প্রায় এক বিঘা জমিতে পরিবার নিয়ে থাকেন সুমন নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি।

ক্যাম্পাসে বাড়ি করার বিষয়ে সুমন জানান, কয়েক বছর ধরে বসবাস করছেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাঁর জমি দখল করতে চাওয়ায় আদালতে মামলা করেছেন।

তবে নারিকেলবাড়িয়া ক্যাম্পাসের দেখভালের দায়িত্বে থাকা ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিম্যাল সায়েন্স বিভাগের শিক্ষক মো. হেমায়েতুল ইসলাম বলেন, ‘এই ক্যাম্পাসের দক্ষিণে এক বিঘার বেশি জমি ২০০৮ সাল থেকে স্থানীয়দের দখল থেকে উদ্ধার করে তারকাঁটা দিয়ে ঘিরে রাখা হয়। দুই বছর আগে এক স্থানীয় ব্যক্তি সেখানে পুকুর ভরাট করে বসতভিটা নির্মাণের কাজ শুরু করেন। তখন তাঁদের নোটিশ দেওয়া হয়। ’

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য সুলতান-উল ইসলাম বলেন, ‘এসব বিষয় দেখার জন্য আমাদের লিগ্যাল সেল রয়েছে। এ বিষয়ে লিগ্যাল সেলে আলোচনা করা হবে। ’


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
চলতি মাসে টানা ৪ দিনের ছুটি মিলবে যেভাবে - dainik shiksha চলতি মাসে টানা ৪ দিনের ছুটি মিলবে যেভাবে সিইসিসহ পাঁচ কমিশনারের পদত্যাগ - dainik shiksha সিইসিসহ পাঁচ কমিশনারের পদত্যাগ রাষ্ট্রপতি যেকোনো সময় পদত্যাগ করতে পারেন - dainik shiksha রাষ্ট্রপতি যেকোনো সময় পদত্যাগ করতে পারেন বাতিল কারিকুলামে শিক্ষার্থীরা আরও একবছর ভুগবেন কেন? - dainik shiksha বাতিল কারিকুলামে শিক্ষার্থীরা আরও একবছর ভুগবেন কেন? ডিআইএতে টাকার খেলা, অভিযুক্তরাই স্কুল অডিটে - dainik shiksha ডিআইএতে টাকার খেলা, অভিযুক্তরাই স্কুল অডিটে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই নতুন অ্যাডহক কমিটি হবে - dainik shiksha সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই নতুন অ্যাডহক কমিটি হবে প্রাথমিকে স্বতন্ত্র ক্যাডার সার্ভিস চালুর দাবি - dainik shiksha প্রাথমিকে স্বতন্ত্র ক্যাডার সার্ভিস চালুর দাবি দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0030889511108398