রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের অপসারণ দাবি

রাবি প্রতিনিধি |
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এম আব্দুস সোবহান, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এম এ বারীর অপসারণ এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ ও ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী শিক্ষক গ্রুপ (সাদা দল)। সাদা দলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মোহা. এনামুল হক স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
 
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে তাদের বিরুদ্ধে ওঠা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাৎ, স্বজনপ্রীতি, অর্থের বিনিময়ে নিয়োগসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। এমতাবস্থায় পদে থাকার নৈতিক যোগ্যতা তারা হারিয়েছেন।
 
বিবৃতিতে শিক্ষক নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করেন, ইউজিসি গঠিত তদন্ত কমিটি ৩৬ পৃষ্ঠার মূল প্রতিবেদন এবং আরও প্রায় ৭০০ পৃষ্ঠার সংযোজনী প্রতিবেদন গত মঙ্গলবার ও বুধবার দুই দিনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও দুর্নীতি দমন কমিশনে জমা দিয়েছে। যা জাতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদনে দেখা যায়, উপাচার্যসহ অন্যদের বিরুদ্ধে পঁচিশটি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।
 
শিক্ষক নেতৃবৃন্দ বলেন, উপাচার্যের এ ধরনের দুর্নীতি ও অনৈতিক কর্মকাণ্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের মর্যাদাশীল পদের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। যা গোটা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারকে জাতির সামনে খাটো করেছে। এ ধরণের চরম পদস্খলিত, দুর্নীতি পরায়ণ ও অযোগ্য ব্যক্তিদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ পদে কোনোভাবেই মেনে নিতে পারে না রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার। তাই অনতিবিলম্বে রাবির উপাচার্য, উপ-উপাচার্যসহ অভিযুক্তদের অপসারণ করার জন্য আমরা মহামান্য চ্যান্সেলরের প্রতি দাবি জানাচ্ছি।
 
বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী শিক্ষকরা হলেন- প্রফেসর ড. মো. শামসুল আলম সরকার, প্রফেসর প্রফেসর ড. সি. এম. মোস্তফা, প্রফেসর ড. কে বি এম মাহবুবুর রহমান, প্রফেসর ড. মো. আশরাফুজ্জামান, প্র্রফেসর ড. মো. সাইফুল ইসলাম ফারুকী, প্রফেসর ড. এফএমএ এইচ তাকী, প্রফেসর ড. মো. আমজাদ হোসেন, প্রফেসর ড. মো. হাবীবুর রহমান, প্রফেসর ড. মো. বেলাল হোসেন, প্রফেসর ড. ফজলুল হক, প্রফেসর ড. ফখরুল ইসলাম, প্রফেসর ড. দিল আরা হোসেন, প্রফেসর ড. মো. মামুনুর রশীদ, প্রফেসর ড. মো. ফরিদুল ইসলাম, প্রফেসর ড. মোস্তফা কামাল আকন্দ, প্রফেসর ড. গোলাম সাদিক, প্রফেসর ড. আমিনুল হক, প্রফেসর ড. ইফতিখারুল আলম মাসউদ, প্রফেসর ড. আওরঙ্গজীব আব্দুর রহমান, প্রফেসর ড. মো. শামসুজ্জোহা এছামী, প্রফেসর ড. মো. আব্দুল আলীম, প্রফেসর ড. সৈয়দ সারওয়ার জাহান লিটন, মিসেস লাভলী নাহার, প্রমুখ।

পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা - dainik shiksha শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা - dainik shiksha রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা ট্রেনে কাটা পড়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু - dainik shiksha ট্রেনে কাটা পড়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কাল - dainik shiksha গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কাল শিক্ষকরাই স্মার্ট নাগরিক গড়ার কারিগর: শিল্পমন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষকরাই স্মার্ট নাগরিক গড়ার কারিগর: শিল্পমন্ত্রী এনটিআরসিএর সার্টিফিকেট সংশোধনের নতুন নির্দেশনা - dainik shiksha এনটিআরসিএর সার্টিফিকেট সংশোধনের নতুন নির্দেশনা মর্নিং স্কুলের ছয় সুবিধা উল্লেখ করলেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা - dainik shiksha মর্নিং স্কুলের ছয় সুবিধা উল্লেখ করলেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা দেড় মাস পর ক্লাসে ফিরছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা, স্থগিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা - dainik shiksha দেড় মাস পর ক্লাসে ফিরছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা, স্থগিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের সংখ্যা বাড়াতে চায় সরকার - dainik shiksha অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের সংখ্যা বাড়াতে চায় সরকার দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0047261714935303